মাসের শেষ না হতেই হাত খালি। নিজেকে প্রশ্ন করলেন টাকা গেলো কই তাহলে আপনার উচিত হবে মাসের প্রথমে নোট ডাউন করা। আপনার প্রতিদিন কী খরচ হবে তা যদি একটা ক্যান্ডিও হয় তারও হিসাব রাখুন। আর সেই সাথে কয়েকটি অভ্যাস এড়িয়ে চলুন যা আপনার সময়ের ব্যবধানে পথেও বসাতে পারে।
কেনাকাটার সহজ মাধ্যম:
এখন অনলাইনে সবকিছু কিনতে পাওয়া যায়। আর কার্ডের মাধ্যমে বিল পে করাও সহজ। অনেকেই এমন কিছু কিনে ফেলেন কিন্তু মাস শেষে গিয়ে মনে হয় তা অহেতুক ছিলো। এই অভ্যাস থেকে নিজেকে অবশ্যই বিরত রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় শপিং অ্যাপগুলো ফোন থেকে সরিয়ে রাখুন। বই পড়া ও নিজের শখের কাজের পিছনে সময় ব্যয় করুন।
হাঁটাহাঁটি না করা:
কম দূরত্ব হলে রিক্সা বা গাড়িতে না উঠে হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে করে কিছু টাকা হলেও সেইভ হবে। এই টাকাগুলো পিগি ব্যাংকে সংরক্ষণ করুন। কিছুদিন লক্ষ্য করে দেখুন কত টাকা জমাতে পারছেন।
পরিকল্পনা মাফিক কেনাকাটা না করা:
যা যা গ্রোসারি লাগবে প্রতিদিন অল্প করে না কিনে মাসের প্রথমে কিনে ফেলুন। যেখানে অফার আছে বা একটু কমে পাওয়া যায় চেষ্টা করুন সেখানে থেকে গ্রোসারি কিনতে। এভাবে অনেক টাকা আপনি সঞ্চয় করতে পারবেন।
বাইরে খাওয়া-দাওয়া:
মাসে এক বা দুবার বাইরে খাওয়া-দাওয়ার করলে ঠিক আছে। বা পরিবার অথবা বন্ধুদের সাথে বিশেষ কোন দিনে বের হলে। কিন্তু প্রতিদিন বাইরে খেতে গেলে বা আপনি যদি প্রতিদিন বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করেন তবে তা চিন্তার বিষয়। আপনার ফাস্ট ফুড খেতে ইচ্ছা হলে বাসায় বানিয়ে ফেলুন। এখন অনলাইনে কুকিং বিষয়ক সব ভিডিও পেয়ে যাবেন। এতে করে টাকাও সঞ্চয় হলো আবার খাবারও স্বাস্থ্যকর হলো।
অহেতুক কেনাকাটা:
সারা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্র্যান্ডগুলোতে কম বেশি ছাড় চলে। চেষ্টা করুন ওই সময় বুঝে শপিং করতে। তবে আপনি যদি সাধারণ সময়ে শপিং করেন আবার ওই ছাড়ার দেওয়ার সময়েও করেন তবে তা আপনার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
ধূমপান:
ধূমপান শুধু ক্যান্সারের কারণ না আপনার পকেট খালির জন্যও যথেষ্ঠ। যারা ধূমপান করে তাদের সপ্তাহে এর পিছনে অনেক টাকা চলে যায়। মাসের হিসেব করলে তা অনেক বেশি। এজন্য স্বাস্থ্য ও টাকার কথা ভেবে ধূমপান করা বন্ধ করুন।
