মহান আল্লাহ প্রত্যেক কাজের সমজাতীয় প্রতিফল নির্ধারণ করে রেখেছেন। তিনি তাওয়াক্কুলের প্রতিদান নির্ধারণ করেছেন প্রাচুর্যতা।
উপায়-অবলম্বন গ্রহণ না করা : উপায়-অবলম্বন গ্রহণ করা তাওয়াক্কুলের অন্যতম শর্ত। অবলম্বন গ্রহণ না করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী। কোনো কাজ সম্পন্ন করতে যে উপায়-উপকরণ অবলম্বনের কথা অস্বীকার করে এবং নিশ্চেষ্ট বসে থাকে, সে গণ্ডমূর্খ ও পাগল। আবার যে আল্লাহর কুদরতের ওপর ভরসা না করে শুধুই উপায়-উপকরণ নিয়ে পড়ে থাকে তার আচরণ শিরকি। আনাস বিন মালেক (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি কি তাকে (আমার উষ্ট্রী) বেঁধে রেখে (আল্লাহর ওপর) ভরসা করব, না কি তাকে বন্ধনমুক্ত করে দিয়ে ভরসা করব? তিনি বলেন, আগে বেঁধে রাখো, তারপর ভরসা করো। (তিরমিজি, হাদিস : ২৫১৭)
তাই বেকার বসে না থেকে কামাই-রোজকার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি নিজ হাতের কামাইয়ের মাধ্যমে যা খায় তার থেকে উত্তম কোনো খাদ্য সে কখনো খায়নি। আল্লাহর নবী দাউদ নিজ হাতের কামাই থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৭২)
চিকিৎসার চেষ্টা না করা : রোগশোক দেখা দিলে চিকিৎসার চেষ্টা না করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী কাজ। নবী করিম (সা.) তো বলেছেন, আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ দেননি, যার প্রতিষেধক বা চিকিৎসা তিনি দেননি। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭৮)
একইভাবে তিনি রোগের চিকিৎসা করাতেও আদেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে আল্লাহর বান্দারা, তোমরা চিকিৎসা করাও। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৮)