যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে একটি দেশের জন্য এটাই এই ভাইরাসে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। সোমবার পর্যন্ত সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি। টিকা নেননি এবং একেবারে প্রবীণ এমন ব্যক্তিরাই বেশি মারা গেছেন। ২০২০ সালের তুলনায় বেশি মানুষ সেখানে মারা গেছেন এ বছরে। এ অবস্থায় সেখানে আবার উদ্বেগজনক হারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সর্বশেষ এক লাখ মানুষ মারা গেছেন গত ১১ সপ্তাহে। গত শীতের চেয়ে এ বছরের শীতে দ্রুত মৃত্যুর দিক দিয়ে এই সংখ্যায় পৌঁছেছে দেশটি। জন্স হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিশেষজ্ঞ ড. কেরি অ্যালথোফ বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উচ্চ পর্যায়ে নেয়া না যায়, ততক্ষণ এই অসুস্থতার ঢেউ অব্যাহতভাবে চলতেই থাকবে।ড. কেরি আরো বলেন, এখনও আমরা সেই অবস্থায় পৌঁছতে পারিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে সর্বপ্রথম সিয়াটল, ওয়াশিংটনে মারা যাওয়ার রেকর্ড করা হয়। তারপর পেরিয়ে গেছে কমপক্ষে ৬৫০ দিন। এরপর ফাইজারের টিকা প্রথম অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই গত শীতে এর প্রয়োগ শুরু হয়। মারা যাওয়ার রেকর্ড করা হয় প্রায় তিন লাখ। এ বছর এপ্রিলে মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের দুটি টিকা অনুমোদন দেয়া হয়। মোট এই তিনটি টিকা প্রাপ্ত বয়স্ক সব মানুষের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুকে থামিয়ে রাখা যায়নি।
এরই মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বেশি মানুষ মারা গেছেন বস্টন অথবা ওয়াশিংটনে। এর অর্থ হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যে পরিমাণ মানুষ মারা গিয়েছিলেন, তার প্রায় দ্বিগুন মারা গেছেন এই মহামারিতে।
অন্যদিকে মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। সেখানে মারা গেছেন ৬ লাখ ১৬ হাজার মানুষ। তিন নম্বরে অবস্থান করছে ভারত। সেখানে কমপক্ষে ৪ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। মাথাপিছু মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বে ২০তম।