Tuesday, April 16, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAযুক্তরাষ্ট্রের স্টেট এবং নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপিসহ ১৮টি কমিটির উদ্যোগে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট এবং নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপিসহ ১৮টি কমিটির উদ্যোগে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

দেশনায়ক তারেক রহমান এবং ডা: জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট এবং নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপিসহ ১৮টি কমিটির উদ্যোগে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন গত ১৮ জানুয়ারী’ ২০২৩, নবান্ন রেস্টুরেন্ট, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়। নিচে পাঠকদের জন্য সম্মেলনের বিস্তারিত হুবহু তুলে ধরা হলো।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের ঠিকানা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মাফিয়া সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার প্রতিহিংসামূলক আচরণের প্রতিবাদে আমরা আজ এই সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছি।
আপনারা জানেন, বিনা ভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে শেখ হাসিনা জনগণের পেছনে র‌্যাব পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে। মানুষকে গুম অপহহরণ করে আটকে রাখতে শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীতে গোপন বন্দীখানা ‘আয়নাঘর’ বানানো হয়েছে। শেখ হাসিনা এবং তার দলের সন্ত্রাসীদের এইসব অপকর্মের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ হওয়ার কথা ছিল জনগণের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল। কিন্তু আমরা দুঃখ জনকভাবে লক্ষ্য করছি, খোদ বিচার বিভাগকেই শেখ হাসিনা এখন তার অবৈধ ক্ষমতার রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করছে। শুধু বিচার বিভাগই নয়, ক্ষমতার লালসা মেটাতে মাফিয়া চক্রের প্রধান শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতীয় সংসদ, দুদক, নির্বাচন কমিশনসহ দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেও ধ্বংস করে দিয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ করে বিরোধীদলের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিচার বিভাগের আচরণ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ কিংবা র্যাব পুলিশের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের চেয়েও নিম্নমানের। হাতুড়ী, লগি বৈঠা হাতে নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং পুলিশের ইউনিফর্ম পরিধান করে অস্ত্র হাতে বিপ্লব-মেহেদী- হারুন চক্র বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। একইভাবে বিচারকের চেয়ার ব্যবহার করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে আইনকে বেআইনীভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে কতিপয় বিচারক।
সম্প্রতি একজন বিচারক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিনী ডা: জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। এতে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, দেশের বিচার বিভাগ এখনো স্বাধীন হতে পারেনি। আমরা বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিনী ডা: জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায়ের তীব্র নিন্দা জানাই।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দেশের হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন বিচারিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। বছরের পর বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মামলা নিস্পত্তিহীন। সেসব মামলা নিষ্পত্তির আদালতের নজর নেই। বরং বিরোধীদল বিশেষ করে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে খুঁজে খুঁজে মামলা বের করে সেই সব মামলার রায় পড়তে আদালতের অতি উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।
মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলাটির ব্যাপারে দুদক আর আদালতের তৎপরতা ছিল প্রতিহিংসামূলক। অতি উৎসাহের সঙ্গে আদালত দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ইচ্ছে মাফিক রায় দিয়েছে বলে জনগণ মনে করে।
একইভাবে প্রতিদিন মিথ্যা মামলা দিয়ে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। কারাবন্দি করা হচ্ছে। এতো অবিচারের শিকার হয়েও বিএনপি আদালতের বিরুদ্ধে মানহানিকর কোনো বক্তব্য দেয়নি। কটু মন্তব্য করেনি। অথচ, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আপনারা দেখেছেন, গত ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২০টি আদালতের বিচারকদেরকে আওয়ামী আইনজীবীরা অপমান করেছে। এমনকি বিচারকদেরকে তুই-তোকারি করেছে। লাথি-চড়-থাপ্পড় মারারও হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অনেকেই দেখেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন বিচারক এজলাসে বসা অবস্থায় কতিপয় আওয়ামী আইনজীবী ওই বিচারকের সঙ্গে কি ধরণের অসভ্য আচরণ করেছেন।
বিচারককে তুই-তোকারি করে আদালতের এজলাস ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছেন। আমরা মনে করি, এ ঘটনাটি শুধু একজন বিচারকের জন্যই নয় পুরো বিচার বিভাগের জন্যই চূড়ান্ত অবমাননার শামিল।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আপনারা জানেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখল করার সময় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি চাদাঁবাজিসহ কমপক্ষে ১৫ টি মামলা ছিল। আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের এবং শেখ সেলিম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে শেখ হাসিনা ও জয়ের দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি সম্পর্কে জবানবন্দিও দিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সেইসব জবানবন্দি এখন আপনারা ইউটিউবে কিংবা ফেসবুকে দেখতে পাবেন। অথচ ক্ষমতা দখলের পর আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে বিচারক বানিয়ে শেখ হাসিনা দলীয় বিচারকদের দিয়ে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে তার নিজের বিরুদ্ধে থাকা ১৫টি মামলা থেকে রেহাই নিয়ে নেন। অপরদিকে মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিংবা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো চালানো হচ্ছে আর ইচ্ছে মতো রায় বের করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জেনেও যেসব বিচারকরা বিচারের নামে অবিচার করে চলছেন আমরা সেইসব বিচারকদেরকে তাদের বিবেকের মুখোমুখি হওয়ার আহবান জানাই।
শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে অস্ত্রের মুখে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। জনগণ আশা করেছিল, ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিচারকগণ দেশের বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট হবেন। আওয়ামী লীগ এবং নির্বাহী বিভাগের আনুগত্য ছেড়ে বিচার বিভাগ মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াবে। বিচারকগণ স্বাধীনতা-স্বকীয়তা নিয়ে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনার আক্রোশ ও প্রতিহিংসার ভয়ে বিচার বিভাগ মনে হয় আরো ভীত হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে, বিচারকদের কারো কারো মধ্যে চাকুরী হারানোর ভয় কিংবা প্রমোশনের লোভ ঢুকেছে। শেখ হাসিনাকে খুশি করতে গিয়ে বিচার বিভাগ বর্তমানে নিজেরাই নিজেদের মর্যাদাকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন বলেই জনগণ মনে করে। আমরা আশা
করি, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক খায়েস মেটাতে বিরোধী দলের পেছনে লিপ্ত না থেকে বরং দেশ এবং জনগণের স্বার্থে বিচার বিভাগ নিজেদের হারানো মর্যাদা ও স্বাধীনতা রক্ষা পুনরুদ্ধারের দিকে নজর দেবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
আপনারা জানেন, ২০১২ সালে রাজধানী ঢাকায় নির্মমভাবে খুন হয়েছিল সাংবাদিক দম্পতি সাগররুনি। সে সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমা সাহারা খাতুন বলেছিলেন, সাগর রুনির হত্যাকান্ড খোদ শেখ হাসিনা তদারক করছেন। সুতরাং ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের রহস্য বের হবে। এরপর দশ বছর পার হয়ে গেলেও সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের রহস্য বের হয়নি। বরং আদালতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ এ পর্যন্ত ৯৫ বার পিছিয়েছে। সাগর রুনির হত্যাকান্ড নাকি সরাসরি শেখ হাসিনা তদারক করছেন। তাহলে সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের অগ্রগতির ব্যাপারে আদালত কেন শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেনা?
কেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেনা? কেন শেখ হাসিনার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিচ্ছেনা ? জনমনে এসব প্রশ্ন রয়েছে। আপনাদের মনে আছে, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ৮ শ ১০ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ শ ১০ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছিল তখনও শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক তথাকথিত উপদেষ্টা ছিল সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ পর্যন্ত সেই রিজার্ভ ফান্ড লোপাটের বিরুদ্ধে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। রিজার্ভ ফান্ড লুটের রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। বরং আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন রিজার্ভ লোপাট মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ এ পর্যন্ত ৬৫ বার পিছানো হয়েছে। জনগণ জানতে চায়, শেখ হাসিনার কথিত তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে আদালত কেন কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি কিংবা তার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়নি? এগুলো কোনো রাজনৈতিক প্রশ্ন নয় বরং এসব প্রশ্নের যৌক্তিক ও আইনগত ভিত্তি রয়েছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।

সুপ্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
জনগণ আরো বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের রহস্য বের হবে। সজীব ওয়াজেদ জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের শত শত কোটি টাকা লোপাটের রহস্য বের হবে। বের হবে আরো অনেক গুম, খুন-টাকাপাচার আর দুর্নীতির রহস্য। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনেই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারেরে কিছু তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়েছে। দেশে বিচার বিভাগ, দুদক, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকলে, শেখ হাসিনা, তার পরিবার এবং তার দলের নেতাকর্মীদের পাহাড় সমান দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের কারণে ইতোমধ্যেই তার মাফিয়া সরকারের পতন ঘটে যেত। সম্প্রতি ওয়াসার এমডি তাসকিন এ খানের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকায় তার ১৪টি বাড়ি। শেখ হাসিনা কি কারণে তাসকিন খানকে ষষ্ঠবারের মতো ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন? এর কারণ, দুর্নীতিবাজ তাসকিন খান শেখ হাসিনা পরিবারের আত্মীয়। ওয়াসার উন্নতি না হলেও শেখ হাসিনার এই আত্মীয় তাসকিন খানের উন্নতি হয়েছে।
আপনারা জানেন, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আরেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবহান গোলাপের আমেরিকায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য বেরিয়েছে। শেখ হাসিনা, তার পরিবার এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাহাড় সমান দুর্নীতির দিকে দুদক, পুলিশ কিংবা আদালত কারো নজর নেই। বরং তারা বিরোধী দলের প্রতি অবিচার চালিয়ে শেখ হাসিনাকে খুশি রেখে কিভাবে ব্যাংক ডাকাতি, দুর্নীতি -টাকা পাচার করা যায় সবাই সেই কৌশল নিয়েই ব্যস্ত।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকদের ভোটের অধিকার আদায় এবং শেখ হাসিনার দুর্নীতি, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় সারাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ জেগে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে দেশনায়ক তারেক রহমানকে টার্গেট করা হয়েছে। এরই অংশই হিসেবে, ২০০৭ সালের একটি মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আদালতকে ব্যবহার করে দেশনায়ক তারেক রহমান এবং ডা: জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের রায় বের করে নেয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার আক্রোশ ও প্রতিহিংসা এবারেই নতুন নয়। কথিত ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন। এরপর থেকে পুনরায় শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ক্ষমতা দখল করেই শেখ হাসিনা আদালতকে ব্যবহার করে তারেক রহমানের শৈশব- কৈশোর-তারুণ্যের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বাসা কেড়ে নিয়েছেন। বাসা কেড়ে নিয়েও শেখ হাসিনার আক্রোশ মেটেনি। দেশের জনগণ যাতে দেশনায়ক তারেক রহমানের বক্তব্য শুনতে না পারে সে জন্য আদালতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনা দেশের গণমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির রায় বের করে নিয়েছেন।

সাংবাদিক বন্ধুগণ
মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানুষের সহজাত অধিকার। মৌলিক মানবিক অধিকার। সুতরাং, দেশের সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের উপর এমন নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। আদালতকে ব্যবহার করে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশে বাধার সৃষ্টি করে, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি প্রকৃত অর্থে একজন রাজনীতিক নন বরং ‘লেডি হিটলার’।
দেশ নায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা এবং অরাজনৈতিক আচরনের একমাত্র কারণ, শেখ হাসিনা জানে, দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে মাফিয়া চক্রের প্রধান শেখ হাসিনার লজ্জাজনক পরাজয় ঘটবে। এ কারণেই শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলা দিয়ে, পরিকল্পিত অপপ্রচার চালিয়ে তারেক রহমানের ইমেজ নষ্ট করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সম্প্রতি তারেক রহমানের আহবানে ঢাকাসহ সারাদেশে ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনগণের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, শেখ হাসিনার অপপ্রচারে জনগণ বিশ্বাস করেনা। সুতরাং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে লাভ নেই। জনগণ শ্লোগান তুলেছে, ‘তারেক রহমান -হৃদয়ে বহমান’।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
আপনারা জানেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং ভোটাধিকারের দাবিতে বিএনপি ১০ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। দাবি আদায়ে বিএনপিসহ বাংলাদেশের পক্ষের, গণতন্ত্রের পক্ষের প্রতিটি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। এই আন্দোলনে ভীত হয়ে পড়েছে শেখ হাসিনার মাফিয়া সরকার। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। আমরা মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের অগ্রযাত্রা থামাতে বানোয়াট মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সম্পত্তি ক্রোকের আজগুবি রায়ে আন্দোলন আরো জোরদার হবে। এইসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক রায় দিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সারাদেশে গড়ে ওঠা গণ আন্দোলন থামানো যাবেনা। কারণ বিএনপির রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস জনগণ। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন জনগণ শেখ হাসিনার সকল অবৈধ ক্ষমতা ক্রোক করবে। এরপর মাফিয়া শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনার দালাল যারা বিচারের নামে অবিচার চালিয়েছেন, আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করেছেন, জনতার আদালতে তাদের বিচার করা হবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
এতক্ষণ আমাদের বক্তব্য ধৈর্য ধরে শোনার জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদসহ স্টেট বিএনপির ১৮টি কমিটির পক্ষে অলিউল্লাহ মো: আতিকুর রহমান, আহবায়ক- নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি, সাইদুর রহমান সাইদ- সদস্য সচিব, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা- আহবায়ক, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, মো: বদিউল আলম- সদস্য সচিব, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, আহবাব চৌধুরী খোকন- আহবায়ক, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপি, ফয়েজ চৌধুরী- সদস্য সচিব, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপি, হাফিজ খান সুহেল- সভাপতি, ওয়াশিংটন বিএনপি, জাকির হোসেইন- সাধারণ সম্পাদক, ওয়াশিংটন বিএনপি, জহির খান- আহবায়ক, ভার্জিনিয়া বিএনপি, তোফায়েল আহমদ- সদস্য সচিব, ভার্জিনিয়া বিএনপি, বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু- সভাপতি, কার্লিফোনিয়া বিএনপি, এম ওয়াহিদ রহমান- সাধারণ সম্পাদক, কার্লিফোনিয়া বিএনপি, মোহাম্মদ মোজাম্মেল নান্টু- সভাপতি, শিকাগো বিএনপি, মিসেস নার্গিস আহমদ- সাধারণ সম্পাদক, শিকাগো বিএনপি, তৌফিকুল আম্বিযয়া টিপু- সভাপতি, কানেকটিকাট বিএনপি, আনোয়ার হোসেন হিমু- সাধারণ সম্পাদক, কানেকটিকাট বিএনপি, একরামুল হক চাকলাদার- সভাপতি, ফ্লোরিড়া বিএনপি, ইলিয়াস খান- সাধারণ সম্পাদক, ফ্লোরিড়া বিএনপি, নাহিদুল ইসলাম খান- সভাপতি, জর্জিয়া বিএনপি, মামুন শরিফ আমদাদ- সাধারণ সম্পাদক, জর্জিয়া বিএনপি, শাহিদ খান চৌধুরী- সভাপতি, ম্যারিল্যান্ডে বিএনপি, মোহাম্মদ কাজল- সাধারণ সম্পাদক, ম্যারিল্যান্ডে বিএনপি, দেওয়ান আকমল চৌধুরী- সভাপতি, মিশিগান বিএনপি, সেলিম আহমদ- সাধারণ সম্পাদক, মিশিগান বিএনপি, সৈয়দ বাদরেল আলম সাইফুল- সভাপতি, বষ্টন বিএনপি, আলী হায়দার মনসুর- সাধারণ সম্পাদক, বষ্টন বিএনপি, সৈয়দ জোবায়ের আলী- সভাপতি, নিউজার্সী (উত্তর ) বিএনপি, হোসেন পাঠান বাচ্চু- সাধারণ সম্পাদক, নিউজার্সী (উত্তর ) বিএনপি, সৈয়দ মোহাম্মদ কাওসার- সভাপতি, নিউজার্সী (দক্ষিণ) বিএনপি, রহিম বাবুল- সাধারণ সম্পাদক, নিউজার্সী (দক্ষিণ) বিএনপি, হাসিবুল হাসান হাসিব- আহবায়ক, ওহাইও বিএনপি, মনিরুল ইসলাম মনি- সদস্য সচিব, ওহাইও বিএনপি, এস এম জি কে শাহ ফরিদ- সভাপতি, পেলসেনভেনিয়া বিএনপি, নুর উদ্দিন নাহিদ- সদস্য সচিব, পেলসেনভেনিয়া বিএনপি, সৈয়দুল হক শাহিদ- সভাপতি, টেক্সাস বিএনপি, জহিরুল ইসলাম জহির- সাধারণ সম্পাদক, টেক্সাস বিএনপি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments