মাঠের পারফরম্যান্স, বিশ্বেসেরার পুরস্কার কিংবা জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে লিওনেল মেসির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে সব দিক দিয়েই পিছিয়ে আছেন মেসির প্রিয় বন্ধু নেইমার। তার পরও ট্রান্সফার মার্কেটে রোনালদো আর নেইমারের চেয়ে দাম কমে গেল মেসির! বছরের শেষ দিনে এসে ক্লাব মৌসুমের প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে। এমন মুহূর্তে ট্রান্সফার মার্কেটে খেলোয়াড়দের সর্বশেষ দাম প্রকাশ করেছে দলবদলের তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট ‘ট্রান্সফারমার্কেট’।
ট্রান্সফারমার্কেটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমের প্রথমার্ধে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে লিওনেল মেসি, হ্যারি কেইন ও জ্যাক গ্রিলিশের। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত মেসির দাম কমেছে দুই কোটি ইউরো। অন্যদিকে ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার ও পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দাম কমেছে এক কোটি ইউরো করে। আর মৌসুমে সবচেয়ে দাম বেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। চার কোটি থেকে সোজা ১০ কোটি উঠে গেছে তাঁর মূল্য! মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর বাজারমূল্য আগের মতোই ১৬ কোটি ইউরো।
চলতি বছরের শুরুতে নেইমারের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছে পিএসজি। তখন নেইমারের মূল্য দাঁড়ায় ১০ কোটি ইউরো। কিন্তু ফর্মহীনতা আর চোটপ্রবণতায় তাঁর মূল্য এখন ৯ কোটিতে নেমেছে। অন্যদিকে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যাওয়ার সময় মেসির মূল্য ছিল আট কোটি ইউরো। ১১ ম্যাচে মাত্র ১ গোল করায় আর বয়স ৩৫ ছু্ঁই ছুঁই হওয়ায় মেসির দাম এখন ছয় কোটি! মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোও এবার জুভেন্তাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গেছেন। এখন পর্যন্ত ১৪ গোল করলেও প্রায় ৩৭ বছরের রোনালদোর দামও চার কোটি ৫০ লাখ থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরোতে নেমেছে।
উল্লেখ্য, দলবদলের বাজারে কোনো খেলোয়াড়ের মূল্য নির্ধারণে বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিবেচনা করে থাকে ‘ট্রান্সফারমার্কেট’। যেমন—খেলোয়াড়ের খ্যাতি এবং বয়স, ব্র্যান্ড ভ্যালু, ভবিষ্যৎপারফরম্যান্সের সম্ভাবনা, উন্নতির সুযোগ থাকা বা না থাকা, ক্লাব ও জাতীয় দলের পারফরম্যান্স, গোল করা এবং সহায়তা করা, বেতন-বোনাস, যে লিগে খেলছেন সেটার মর্যাদা, অভিজ্ঞতা, চোটপ্রবণতা, কতগুলো ক্লাব তাঁকে পেতে চায় ইত্যাদি বিষয় পরিমাপক হিসেবে ধরা হয়।