নিউইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ এর ২০ হাজার আসনের মধ্যে মাত্র ৪ হাজার আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করা
হচ্ছে। তবে কনসার্টের মোট বাজেট কত তা তিনি জানাতে পারেন নি। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এপ্রিল মাস থেকে কনসার্টের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীন রাজনীতিবিদ, স্থানীয় সাংবাদিক ও আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুদের জন্য ফ্রি টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এসময় তিনি সকলকে অনুরোধ করেন, নতুন প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুদের এই কনসার্টে অংশগ্রহন করানোর। আর যারা ফ্রি টিকিটের মাধ্যমে কনসার্টে অংশ নিতে আগ্রহী তাদের নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ই-মেইলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান।

তবে ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ নিউইয়র্কে আয়োজিত হলেও প্রবাসী বাংলাদেশীদের জানাতে তেমন কোন কর্মকান্ড পরিচালনা না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে উপস্থিত সাংবাদিকরা।

‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ আয়োজনে নিউইয়র্ক প্রবাসীদের অংশগ্রহন নেই কেন? জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই আয়োজনের সবই হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক কনসার্ট আয়োজনের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সাংবাদিকরা কনসার্টের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। দেশীয় কিছু কোম্পানীও স্পন্সর হিসেবে রয়েছে। সরকারের ১০ কোটি টাকার বাইরে স্পন্সর কোম্পানী গুলো কত টাকা দিচ্ছে তা স্পস্ট করে জানাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী। কনসার্টেও মোট বাজেট কত তাও তিনি জানাতে পারেন নি।