বিশ্লেষকদের মত
মেটার পেইড সেবা চালুর পরিকল্পনাকে বিভেদ সৃষ্টিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন অনলাইন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। যেভাবে পেইড সেবার কাঠামো সাজানো হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুরস্কারপ্রাপ্ত অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কাভিয়া পার্লম্যান। তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি তাঁর কাছে বৈষম্যমূলক বলে মনে হয়েছে। তাঁর মতে, এটা হলো ডিজিটাল বর্ণ প্রথা। সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ফিচার বিক্রি করা উচিত নয়। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক সিনান অ্যারেল বলেন, ভেরিফিকেশন ব্যাজ ভেতরের গ্রুপ ও বাইরের গ্রুপ হিসেবে বিভেদ তৈরি করবে। এ ছাড়া কনটেন্টের মানের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে ব্যক্তির নাম। যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হারগিভস ল্যান্সডাউনের জ্যেষ্ঠ বিনিয়োগ ও বাজার বিশ্লেষক সুজানা স্ট্রিটার বলেন, যারা ব্যবসায়ী ও তারকা ব্যক্তিত্ব তারা হয়তো পেইড সেবা গ্রহণ করে নিজেদের প্রচার বাড়াবে। কিন্তু সাধারণ গ্রাহকদের এটা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম বিমুখ করতে পারে। উল্লেখ্য, অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রাইবাররা ভেরিফিকেশন ব্যাজ, ভুয়া অ্যাকাউন্টের উৎপাত এড়ানো, সরাসরি কাস্টমার সাপোর্ট সেবা, পোস্টের রিচ বাড়ানোসহ তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। গত রবিবার এক ফেসবুক পোস্টে পেইড সেবা ‘মেটা ভেরিফায়েড’ চালু করার ঘোষণা দেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। সর্বপ্রথম নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সেবাটি চালু হবে।
সূত্র : ডিজিটাল জার্নাল