তাকবিরে উলার সহজ বাংলা হলো, প্রথম তাকবির। মুমিন প্রতিটি নামাজ শুরু করতে হয় তাকবিরের মাধ্যমে। যাকে তাকবিরে তাহরিমা বলে। ইমাম সাহেব তাকবির বলে নামাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কেউ তাকবির বলে নামাজ শুরু করতে পারলে তাকে তাকবিরে উলা বলে।
তাকবিরে উলার সহিত নামাজ পড়তে চাইলে জামাতে নামাজ পড়তে হবে। আর জামাতের সহিত নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতের কাজ। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, জামাতের নামাজ একাকী নামাজ অপেক্ষা ২৭ গুণ মর্যাদাপূর্ণ। (নাসায়ি, হাদিস : ৮৩৭)
আর তাকবিরে উলার সহিত নামাজ পড়া আরো বেশি ফজিলতের কাজ। প্রতিটি নামাজ ইমামের সঙ্গে গুরুত্ব সহকারে তাকবিরে উলার সহিত পড়তে পারলে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুসংবাদ আছে, আছে মুনাফিকের তালিকা থেকে মুক্তির সুযোগ। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তোষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে ৪০ দিন তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারলে তাকে দুটি নাজাতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়; জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ এবং মুনাফিকি থেকে মুক্তি। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১)
মুনাফিকের চিহ্ন হলো, সে নামাজে অলসতা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে, বস্তুত তিনি তাদের ধোঁকায় ফেলেন। আর যখন তারা সালাতে দাঁড়ায় তখন শৈথিল্যের সঙ্গে দাঁড়ায়, শুধু লোক দেখানোর জন্য এবং আল্লাহকে তারা অল্পই স্মরণ করে। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪২)
সুতরাং ৪০ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ম করে তাকবিরে উলার সঙ্গে পড়া কোনো অলস নামাজির পক্ষে সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুরুত্ব সহকারে তাকবিরে উলার সহিত নামাজ আদায়ের তাওফিক দান করুন।