তিন বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত। গত সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চ গতকাল এই আদেশ দেন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন আসিফ আকবর। বিষয়টি নিয়ে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত আসিফ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন, আমার গলায় লটকে থাকা অপবাদের জ্বলন্ত দগদগে লাল লোহার শিকলটি খসে পড়লো। আমার ছোটবেলার বন্ধু ব্যারিস্টার মইন ফিরোজী মাকিন এবং তার আইনজীবী স্ত্রী বন্ধু সাবরিনা সামাদ ফিরোজী তাদের চালিয়ে যাওয়া জোরালো লড়াইয়ের ফসল এই স্থগিতাদেশ। ছোট ভাই এডভোকেট জাকির হোসেন, এডভোকেট মনিরসহ সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ভালোবাসা। আমি আজ মুক্ত, উড়ে বেড়ানোর জন্য আমার আকাশ আবার উন্মুক্ত।দীর্ঘ চার বছরের অপমান, অপবাদ, গ্লানি থেকে মুক্তি পেয়েছি। এক রমজানে গ্রেপ্তার হয়েছি, আরেক রমজানে পাওয়া এই আদেশে আমি মহান আল্লাহ্র প্রতি যারপরনাই কৃতজ্ঞ। আসিফ আরও লিখেন, আমার বন্ধু মইন খবর পেয়ে স্বেচ্ছায় এই মামলা নিয়েছে। সে প্রতিটা ডেটে নিম্ন আদালতে আমার সঙ্গে পায়ে হেঁটে সাততলা, নয়তলার সিঁড়ি ভেঙে উঠেছে বিনা বিরক্তিতে। আমাকে বকেছে, শাসন করেছে, আবার আগলে রেখেছে তার বুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা নরম কুসুমের মতো আবেগের জায়গাটায়। আসিফ আরও লিখেন, দেশের মানুষ আমার জন্য দোয়া করেছেন, সারা দেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যারা কোনো সত্য না জেনে অভ্যাসবশত আমার মরহুম বাবা-মাকে গালাগাল করেছে, তাদেরও ধন্যবাদ। আমার পরিবার, বন্ধুমহল, ইন্ডাস্ট্রির সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। গীতিকার শফিক তুহিনকেও বিশেষ ধন্যবাদ আমাকে জেলে পাঠিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্য। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই, আইনজীবীর সন্তান এবং দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলায় ২০১৮ সালের ৫ই জুন দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার হন আসিফ আকবর। সেদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে এফডিসি’র কাছে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।