Sunday, September 24, 2023
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকমুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক গীতা মেহতা আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক গীতা মেহতা আর নেই

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক ও সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই। শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। গীতা মেহতার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বড় বোন। খবর এনডিটিভিসহ বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। 

১৯৭০-৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির যুদ্ধ সংবাদদাতা ছিলেন গীতা মেহতা। পরে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। যা বহুল প্রশংসিত হয়েছে। 

গীতা মেহতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) মোদি লিখেছেন, প্রখ্যাত লেখক গীতা মেহতার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার পাশাপাশি লেখালেখি আর চলচ্চিত্রের প্রতি তার আগ্রহের জন্য পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।  

গীতা মেহতার জন্ম ১৯৪৩ সালে দিল্লিতে। তার বাবা ভারতীয় রাজনীতিক ও ওড়িশার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েক এবং মা জ্ঞান পট্টনায়েক। গীতা মেহতা প্রথমে ভারতে, পরে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। 

তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে- ‘কারমা কোলা: মার্কেটিং দ্য মিস্টিং ইস্ট’, ‘কেস অ্যান্ড ল্যাডার্স’, ‘আ রিভার সুত্রা’, ‘রাজ’ ও ‘দ্য ইটারনাল গনেশা’। 

২০১৯ সালে ভারত সরকার গীতা মেহতাকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভ‚ষিত করে। তবে গীতা মেহতা সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানান। কারণ হিসাবে ওই বছরে লোকসভা নির্বাচনের কথা বলেন তিনি। সেই নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। 

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments