Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAমার্কিন সিনেটে পাস হলো বন্দুক সুরক্ষা বিল

মার্কিন সিনেটে পাস হলো বন্দুক সুরক্ষা বিল

বৃহস্পতিবার আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হলো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিল। যা গত ৩০ বছরের মধ্যে ফেডারেল সরকার মারফত বন্দুক সংস্কার আইনের প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয়েছে । ১০০ সদস্যের সিনেটে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাশ হয়েছে। বিলের পক্ষে পড়েছে ৬৫টি ভোট। বিপক্ষে ৩৩টি। রিপাবলিকানরা  এই ভোটের সমর্থনে ডেমোক্র্যাটদের সাথে যোগ দিয়েছিল, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিতর্কিত নীতিগত ইস্যুতে একটি উল্লেখযোগ্য দ্বিদলীয় অগ্রগতি । 

বিলটি এখন ভোটের জন্য হাউসে যাবে ,তারপর  আইনে পরিণত করতে স্বাক্ষর করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠানো হবে।  বিলটিতে মানসিক স্বাস্থ্য, স্কুল নিরাপত্তা, অপরাধমূলক পটভূমির  রেকর্ড রাখতে ১৩.২ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে । দেশের বিভিন্ন স্কুল, শপিং মলে বন্দুকবাজের ধারাবাহিক হামলার প্রেক্ষিতে আগ্নেয়াস্ত্র আইন আরও কঠোর করার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফেডারেল বন্দুক সুরক্ষা বিলের উপর ভোট সেই দিনেই আসে যখন সুপ্রিম কোর্ট নিউইয়র্কের বন্দুক আইনকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা ঘোষণা করে  এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে হ্যান্ডগান বহন করার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৯০ মিলিয়নেরও বেশি বন্দুক বেসামরিক ব্যক্তিদের মালিকানাধীন।

শুধুমাত্র ২০২০ সালে, ৪৫,০০০ এরও বেশি আমেরিকান আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত আঘাতের কারণে মারা গেছে। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট সে দেশের নাগরিকদের আত্মরক্ষার জন্য প্রকাশ্য স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার সাংবিধানিক অধিকার দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিল আনায় বন্দুকপ্রেমী সংগঠনগুলির সমালোচনার মুখে পড়েছিল বাইডেন সরকার। এবার চাপের মুখে পড়ে বন্দুকবাজের হামলা ঠেকাতে অস্ত্র আইনে বদল আনলো সরকার। আমেরিকায় গত তিন দশকে আগ্নেয়াস্ত্র বিল পাশের এই পদক্ষেপ অন্যতম ঐতিহাসিক ঘটনা বলে দাবি শাসক ডেমোক্র্যাট শিবিরের। এই বছরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল টেক্সাসের উভালদেতে। গত ২৪ মে  একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯ জন শিশু এবং দুই শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছিল। তার আগে বাফেলোতে একটি সুপারমার্কেটে ১০ জন নিহত হয়েছিলেন । 

সূত্র : দ্য প্রিন্ট

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments