Sunday, April 2, 2023
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকমার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সিরিয়ার ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা: রেড ক্রিসেন্ট

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সিরিয়ার ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা: রেড ক্রিসেন্ট

ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। কিন্তু তুরস্কে যে গতিতে উদ্ধারকাজ চলছে, সিরিয়ায় তা দেখা যাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। ফলে দেশটির প্রতি এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। এ খবর দিয়েছে শিনহুয়া।

খবরে বলা হয়েছে, আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দামেস্ক। মঙ্গলবার সিরিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান খালেদ হাবুবাতি দামেস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে আটকে পড়া সম্ভাব্য জীবিত মানুষদের উদ্ধার করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

হাবুবাতি আরও বলেন, ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য আমাদের ভারী যন্ত্রপাতি, অ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নিনির্বাপণের যানবাহন প্রয়োজন।

এজন্য অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জরুরি। নিহতের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে এবং বহু ভবন এখনও ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এক কথায় বিপর্যয়কর এবং আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত থাকলেও আমাদের হাতে কোনো যন্ত্রপাতি নেই। সিরিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান জানান, দেশটির সরকার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আলেপ্পোতে ১২৬টি, লাত্তাকিয়ায় ২৩টি, হামায় পাঁচটি, হোমসে তিনটি এবং তারতুসে তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে। ভূমিকম্পের পর বহু দেশ সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠিয়েছে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি এত বেশি হয়েছে যে, প্রয়োজনের তুলনায় এসব ত্রাণ খুবই অপ্রতুল। তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার জন্য ত্রাণ দানকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে তিনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে সোমবার ভোররাতে রিখটারস্কেলে ৭.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে সিরিয়া ও তুরস্কে নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যাদের মধ্যে শুধু সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।  ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন ধাপে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments