শিক্ষাজগতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রদের দক্ষতা অর্জনের ঐতিহ্য রয়েছে, তা সে স্ক্রিপস ন্যাশনাল স্পেলিং বি, ইউএস বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা, বা কুইন্স কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতাই হোক না কেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখে, নয় বছর বয়সী ভারতীয়-আমেরিকান স্কুল ছাত্রী প্রীশা চক্রবর্তী জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ প্রতিযোগিতায় “বিশ্বের উজ্জ্বল” ছাত্রদের তালিকায় নাম লেখালো। প্রীশা হল ফ্রেমন্ট, ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়ার্ম স্প্রিং এলিমেন্টারি স্কুলের ছাত্রী, এবং গ্রেড ৩ ছাত্রী হিসাবে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ইউএস-ভিত্তিক জনস হপকিন্স সেন্টার ফর ট্যালেন্টেড ইয়ুথ পরীক্ষা দিয়েছিল সে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিশ্বের ৯০ টিরও বেশি দেশের ১৬,০০০ বেশি শিক্ষার্থীর উচ্চ-গ্রেড-স্তরের পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করার পরে তিনি তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, যথেষ্ট কঠিন এই প্রতিযোগিতায় প্রতি বছর ৩০ শতাংশের কম প্রতিযোগী উত্তীর্ণ হতে পারে। যার মধ্যে অংশ নিয়ে বিশ্বের উজ্জ্বলতম ছাত্রীর তালিকায় গ্রেড-৩ পেয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়ে। মাত্র ৬ বছর বয়সে নাগলিয়ারি নন ভার্বাল এবিলিটি টেস্টে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে সকলকে অবাক করে দিয়েছিল সে। পড়াশোনার বাইরেও নানা শখ আছে তার। বেড়াতে যাওয়া, হাইকিং, মিক্সড মার্শাল আর্টস-সহ নানা দিকে আগ্রহ রয়েছে ওই মেধাবী পড়ুয়ার। প্রীশা সার্বজনীনভাবে বিশ্বের প্রাচীনতম উচ্চ-আইকিউ সোসাইটি মেনসা ফাউন্ডেশনের একজন আজীবন সদস্য, যেখানে সদস্যপদ এমন লোকদের জন্য উন্মুক্ত যারা মানসম্মত, তত্ত্বাবধানে আইকিউ বা অন্যান্য অনুমোদিত বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষায় ৯৮ তম শতাংশ বা তার বেশি স্কোর করে।তার বাবা মায়ের মতে, প্রীশা সবসময় শেখার প্রতি আগ্রহী এবং ধারাবাহিকভাবে ব্যতিক্রমী শিক্ষাগত দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। এর আগে স্যাট বা স্কলাস্টিক অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট, অ্যামেরিকান কলেজ টেস্টিং, স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবিলিটি টেস্ট এবং একইরকম সিটি ট্যালেন্ট সার্চের মতো পরীক্ষার ফলাফলেও প্রীশা তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট