মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমেই ভাইরাসটি ছড়ায়। তাই এর গণটিকা কার্যক্রম এখনই দরকার নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা। তবে যেসব দেশে এখনো সংক্রমণ হয়নি সেসব দেশে যেন এটি ছড়িয়ে না পরে সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আজ শুক্রবার ডব্লিউএইচও’র বৈশ্বিক সংক্রামক ঝুঁকি প্রস্তুতি বিষয়ক পরিচালক সিলভি ব্রায়ান্ড বলেন, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে ভাইরাসটি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
জেনেভায় জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটির বার্ষিক সমাবেশে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি এক টেকনিক্যালয় ব্রিফিংয়ে ব্রায়ান্ড আরও জানান, দ্রুত শনাক্ত ও আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখা এবং আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিত করা ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচিত প্রথম প্রজন্মের স্মলপক্স টিকার তথ্য বিনিময় করা, যা মাঙ্কিপক্সে কার্যকর হতে পারে। বিশ্বে এই টিকার কত ডোজ বিদ্যমান আছে তা আমাদের জানা নেই। তাই সকল দেশকে আহ্বান জানাচ্ছি ডব্লিউএইচওকে তাদের মজুত সম্পর্কে জানাতে।
টিকার বিষয়ে ডা. রোসামুন্ড লুইস বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত বিলুপ্ত হয়েছে। ওই সময়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে গুটিবসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর। মাঙ্কিপক্সের টিকাও আছে। কিন্তু সেটা তুলনামূলক নতুন এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না। যদিও ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা টিকা আরও সহজলভ্য করতে কাজ করছেন।
তবে সবার জন্য টিকার প্রয়োজন নেই বলে মত ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ফন কেরখোভের। তিনি বলেন, এ রোগ শুধু ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।
এটি ছড়াতে খুবই ঘনিষ্ঠ শারীরিক স্পর্শের প্রয়োজন হয়। সাধারণত আক্রান্ত একজনের চামড়ার সঙ্গে অন্যজনের চামড়ার সংস্পর্শ থেকে এ রোগ ছড়ায়। এছাড়া এটা করোনার মতো উপসর্গহীন নয়। তাই কেউ এ রোগে আক্রান্ত কি-না, সেটা জানতে পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।