আরব ইতিহাসের দীর্ঘতম মহাকাশ মিশনে আমিরাতের নভোচারী
নিরাপদে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছেন আমিরাতের সুলতান আল-নিয়াদিসহ স্পেসএক্সের চার নভোচারী। আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) সেখানে পৌঁছে আল্লাহর প্রশংসা করে প্রথম বার্তা পাঠান আল-নিয়াদি। আরব ইতিহাসের দীর্ঘতম এই মহাকাশ মিশনে আগামী রমজানসহ ছয় মাস তারা অবস্থান করবেন।
এমবিআর স্পেস সেন্টারের এক টুইট বার্তায় দেখা যায়, আমিরাতের এই নভোচারী তার বাবা-মা, পরিবার ও নিজ দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিরাপদে পৌঁছেছি। আমার বাবা-মা, পরিবার ও মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টারকে ধন্যবাদ। এখানে আসার চেয়ে আনন্দঘর মুহূর্ত আমি আর পার করিনি। মহাকাশে এসে আমার পুরোনো বন্ধুদের দেখতে পাচ্ছি এবং এখানে যেন একটি বড় পরিবারকে পেয়েছি।’
আমিরাত ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ন্যাশনাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ‘ক্র সিক্স’ করে আরব ইতিহাসের দীর্ঘতম মহাকাশ মিশনে যান আমিরাতের ৪১ বছর বয়সী আল-নিয়াদি। সেখানে তিনি আগামী ছয় মাস অবস্থান করবেন। তাঁর সঙ্গে আরো রয়েছেন নাসার স্টিফেন বোয়েন ও ওয়াডি হোবার্গ এবং রাশিয়ার আন্দ্রে ফেডিয়ায়েভ। এ সময় তারা নাসার দুই শতাধিক গবেষণা পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এর আগে রমজানে মহাকাশে অবস্থান প্রসঙ্গে আল-নিয়াদি বলেছিলেন, ‘মহাকাশে অবস্থানের ছয় মাসে আমরা পবিত্র রমজান মাস, ঈদসহ বেশ কিছু সুন্দর উৎসব উদযাপন করব। অবশ্য আমি ভ্রমণকারীর সংজ্ঞার মধ্যে পড়ি। তাই আমার জন্য রোজা আবশ্যক নয়। আমি চাইলে রোজা ভাঙতে পারব। তা ছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও আহার করা যাবে।’ তবে সুযোগ পেলে সেখানে রোজা রাখবেন এবং সহকর্মীদের সঙ্গে নিজের খাবার ভাগ করে নেবেন বলে জানান তিনি। এ সময় নিজ পরিবারকে খুবই মনে পড়বে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ১৯৮৫ সালে সৌদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে গিয়েছিলেন। প্রথম আরব ও মুসলিম নভোচারী হিসেবে তিনি মার্কিন মহাকাশ অভিযানে অংশ নেন। ২০০৭ সালে রমজানের কয়েক দিন ও ঈদ মহাকাশে কাটিয়েছেন মালয়েশিয়ার নভোচারী শেখ মুসজাফর শাকর। ২০১৯ সালে আমিরাতের প্রথম নভোচারী হাজ্জা আল মানসুরি মহাকাশে ৮ দিন কাটান। সেখানে তাঁর নামাজ পড়ার ছবিও ধারণ করা হয়।
সূত্র : দ্য ন্যাশনাল