Monday, March 20, 2023
spot_img
Homeধর্মমহাকাশের ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি নিয়ে বিতর্ক মহান আল্লাহর সৃষ্টি প্রমাণিত

মহাকাশের ১৩০০ কোটি বছর আগের ছবি নিয়ে বিতর্ক মহান আল্লাহর সৃষ্টি প্রমাণিত

১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের এক রঙিন ছবি দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা গ্যালাক্সিগুলোর এমন ছবি এই প্রথম প্রকাশ করা হলো।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে সেই ছবি প্রকাশ করে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবদানের কথা তুলে ধরেন। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এই ছবি ধারণ করা হয়। ছবিটি মহাবিশ্বের গ্যালাক্সিগুলোর একটি অংশকে ধারণ করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে এসএমএসিএস ০৭২৩। এরপর থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মতামত পেশ করেছেন নেটিজনরা।

সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, নাসা দাবি করেছে এই ছবিতে যে আলো দেখা যাচ্ছে তা নাকি ১৩০০ কোটি বছরের পুরাতন। যদি তা হয়, তাহলে আমরা খালি চোখে প্রতিনিয়ত যে আকাশ দেখি, এমনকি সাধারণ মোবাইল ক্যামেরায় যে আকাশের ছবি তুলি, তাতে যে মিল্কি ওয়ে ও বিভিন্ন নক্ষত্ররাজির আলোর ছবি ধরা পড়ে তা কত বছরের পুরাতন?
কেউ কেউ আবার এই ছবি দেখিয়ে ধর্মকে অপ্রাসঙ্গিক বলে জাহির করছে। প্রশ্ন হলো- এই আমেরিকা কী এই দাবি করেছে? নাসা কী এ দাবি করেছে? তাহলে তারা কারা?
আমি তো দেখি, এই ছবি আরো আকাশ ও সৃষ্টি সম্পর্কে মহান আল্লাহর বিশালতা সম্পর্কে জানান দিচ্ছে। কুরআন ও হাদীসের আকাশ ও নভোমন্ডলী সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তাকে বুলন্দ করছে।
আল্লাহ বলেছেন, আগে তার আরশ পানিতে ছিল। এরপর তিনি ৬দিনে পৃথিবী ও নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছে। এরপর হাজার হাজার কোটি বছর ধরে এসব সৃষ্টি নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাসযোগ্য হয়েছে। তিনিই মানুষকে ধারণা দিয়েছেন, মানুষ আসার আগেও পৃথিবীতে তিনি নানা মাখলুকাত পাঠিয়েছেন, যারা পৃথিবীকে আবাদ করেছে। মানুষ হচ্ছে, আবাদকারী সর্বশেষ মাখলুকাত এবং শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত।
মহান আল্লাহ নিজে বলেছেন, আকাশ ও নভোমন্ডলীতে তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন নিছক বিনোদন ও খেলাচ্ছলে তা সৃষ্টি করেননি। বরং এতে চিন্তাশীলদের জন্য চিন্তার অনেক খোরাক। অর্থাৎ আল্লাহ নিজেই এরকম স্যাটেলাইট, টেলিস্কোপসহ আরো যা যা সম্ভব তা দিয়ে মানুষকে গবেষণা করতে উৎসাহিত করেছেন।
এম আমির হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, নাসা যেভাবে হাজার কোটি বছর আগের ছবি প্রকাশ করেছে, এমন একদিন হয়ত আসবে যখন তারা সেই সময়ের ভিডিও প্রকাশ করবে। আবার পৃথিবীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ও মহামানবের চলমান জীবনও হয়ত দূর-মহাকাশ থেকে ভিডিও করা সম্ভব হবে। তখন হয়ত অনেক মহানায়ক খলনায়কও হয়ে যেতে পারে, নতুন করে ইতিহাসও লেখা লেখতে পারে। শেষ কথা বিজ্ঞানীরাই সকল মহত্ত্ব, পবিত্রতা এবং বিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে মানুষকে একদিন ভিন্ন সত্যের কাছে পৌঁছে দিবে।

আরকান উল্লাহ হারুনি নামে একজন লিখেছেন, ১৩০০ কোটি বছর আগের নাসা ছবি তুলেছে যা সত্যি হতবাক করে দেওয়ার মতো একটি ঘটনা। আমার অনেক বন্ধু বান্ধবকে ভাবতে দেখি শেষ বিচারের দিন আমাদের ভালো মন্দ সব কিছু আল্লাহ পাক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিভাবে দেখাবেন ?
আজ পৃথিবীর সেই শুরু দিনটি আকাশ কেমন ছিল তার ছবি তুলে মানব জাতিকে দেখালো নাসা। এই জেমস টেলিস্কোপের যে লেন্স তার আবিষ্কারক হলেন-কুরআন ও সুন্নাহ গবেষক ইবনে হাইশাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিষয় হলো- সোনালী যুগের ইতিহাস মুসলিম ৫৭ দেশের স্কুল বোর্ডের পাঠ্য তালিকায় তা সংযুক্ত হয়নি।

তানভির শাহরিয়ার নামে একজন লিখেছেন, আবারো কিছু লোকজন কুরআন আর বিজ্ঞানকে মুখামুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছেন! নাসার পেজে যখন আমি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা মহাকাশের ১৩০০ কোটি বছর আগের রঙিন ছবি দেখি, তখন বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রায় “সুবহানাল্লাহ” উচ্চারণ করেছি। এখন কথা হলো যারা বিজ্ঞানের এডভান্সমেন্ট মানতে পারেন না, সেটা যেমন তাদের চিন্তার দৈন্যতা, তেমনি যারা বিশ্বাসীদের নানাভাবে অপদস্ত করতে চান। আমরা যারা প্রকৃত বিশ্বাসী তারা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় খুশি হই। বিজ্ঞানীরা গবেষণার জন্য বহু রিসার্চ করেন।

ঈসমাইল হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, মাঝে মাঝে নাস্তিক্যবাদকে উস্কে দিতে পারে কিছু লোক। তাতে কি? ভাগ্যবান ঈমানদারদের ঈমানে চুল চেরা গেপও তৈরি করতে পারবে না। আল কুরআনই হচ্ছে সব চেয়ে বড় বিজ্ঞান। ওরা কুরআনকে রিচার্স করে আবিস্কার করে। কিন্তু ভাগ্যে ঈমানের স্বাদ নেই না।

আমিনুল সবুর নামে একজন লিখেছেন, আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম সাফল্য মহাকাশ বিজ্ঞান। এ বিষয়ে আল কুরআনে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ‘অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশম-লী ও পৃথিবী ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং জীবন্ত সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না?’ (২১:৩০)। এটি আধুনিক বিজ্ঞানের ‘বিগ-ব্যাং’ তত্ত্বের অনুরূপ।


আবার অনেকেই সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ বলে পোস্ট করে মহান আল্লাহর প্রশংসা করেছেন। এমনকি অনেকেই মহান আল্লাহর সৃষ্টি প্রমাণিত বলে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments