Friday, July 26, 2024
spot_img
Homeজাতীয়ভোলায় ওসি আরমানসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ভোলায় ওসি আরমানসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ভোলা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  কোর্টে হত্যা মামলাটি দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে হত্যার ঘটনা নিয়ে থানায় রক্ষিত মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার কামাল। আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর অধিকতর শুনানি শেষে মামলার বাকি আদেশ দিবেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। এদিকে ভোলা ছাত্রদল সভাপতির লাশবাহী গাড়ি ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। রাত ৯টায় শহরের চরনেওয়াবাদ আলতাজের রহমান কলেজের মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে ভোলা জেলা বিএনপি।

নয়াপল্টনে নূরে আলমের জানাজা ঘিরে উত্তেজনা, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের জানাজায় অংশ নিতে জড়ো হয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানাজা শুরু হবে। জানাজাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নয়াপল্টন এলাকায় জন সমুদ্রে পরিণত হয়। কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত এক পাশের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এদিকে ছাত্রদল নেতার জানাজাকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। 

ওদিকে পুলিশের গুলিতে নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম নিহতের প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল  দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই সারাদেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে আহত হন নুরে আলম। পরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

৭ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

নূরে আলমের জানাজায় কাঁদলেন ফখরুল

পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের জানাজায় উপস্থিত হয়ে কাঁদলেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনেই নিহত ছাত্রদল নেতার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে এসে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। সকাল ১১টায় জানাজা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হাসপাতাল থেকে লাশ আনতে দেরি হওয়ায় দুপুর সোয়া একটায় জানাজা শুরু হয়। জানাজার পূর্ব মুহূর্তে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এর চেয়ে বড় বেদনার, যন্ত্রণার আর কিছুই নেই। আমাদের ছেলে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে গুলি করা হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করা হত্যা করা হয়েছে ভোলা জেলার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে। আর ১৯ জন ঢাকায় বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। 

তিনি বলেন, আজকে এটা নতুন নয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের একদলীয় শাসনকে পোক্ত করর জন্য আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে, হাজারো নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, ৩৫ লাখেরও বেশি নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তাই আজকে আর কোন রোদন নয়, কোন ক্রন্দন নয় আজকে আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী প্রাতিষ্ঠ জুলুমবাদ সরকারের হাত থেকে এই জাতিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন সমস্ত জাতির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণ আন্দোলন সৃষ্টি করে আমাদের সন্তান, ভাই নূরে আলম এবং রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেবো ইনশাআল্লাহ। এসময় ছাত্রদল নেতা সভাপতি নূরে আলমকে হত্যার প্রতিবাদে ৭ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।

কর্মসূচি: ৫-৭ আগস্ট ৩ দিন সারাদেশে শোক হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও দোয়া, ৬ আগস্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ, ৭ আগস্ট জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ, ৮ আগস্ট জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ, ১০ আগস্ট জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments