আগের স্থগিতাদেশ কাটিয়ে আজ শনিবার ভোট হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির। তবে শেষ মুহূর্তে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে সেলিম খান-মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং মুশফিকুর রহমান গুলজার-কামাল মো. কিবরিয়া লিপুর দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এ দুই প্যানেল থেকে মোট ৪৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তবে নির্বাচন বন্ধের জন্য হাইকোর্টে রিট করেন প্রযোজক মোহম্মদ হোসেন। এর বাদী অপর প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।রিটে বলা হয়, প্রার্থী সেলিম খানের টিআইএন একাধিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা ও একাধিক ভোটার করা হয়েছে।এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন আদালত।
জানা গেছে, বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচনের করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২০১১ সালে হওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক এক ব্যক্তির মালিকানায় যতগুলো প্রতিষ্ঠানই থাকুক না কেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে আলাদা টিআইএন না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির ভোটাধিকার থাকবে না। কিন্তু এবার নির্বাচন প্রার্থী সেলিম খানের টিআইএন দিয়ে একাধিক ভোটারের নাম পাওয়া গেছে।
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘এবার দেখা গেছে এক টিআইএন-এর আওতায় অনেকে ভোটার হয়েছেন। এটা তো অন্যায়। তাই অভিযুক্তদের ভোটাধিকার বাতিল করে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে। তারপর নির্বাচন করতে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। আমরা সেই নির্দেশ মানছি।’