বাংলা সংগীতের ম্রিয়মাণ জগতের জন্য একটি অবিশ্বাস্য সুখবর পশ্চিম বাংলা থেকে ভেসে আসছে। বাংলাদেশের এক সময়ের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী যিনি আমাদের সুর লোক মাতিয়ে রেখেছিলেন পঞ্চাশের দশকে এবং যিনি গানের জগৎ থেকে অবসর নিয়ে গানে সুর দেয়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন সাবেক সচিব, সাঁতার তারকা, কবি ও লেখক আসাফ্উদ্দৌলাহ্ এবার তার রচিত পনেরটি কাব্যগীতিতে সুর সংযোজনা করেছেন। গানগুলোর অডিও-ভিডিও রেকর্ড হয়েছে কলকাতায়। গানগুলো গেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত পরিচিত গায়িকা শ্রীমতি পিউ মুখার্জী। বহু বিখ্যাত গজল গানের গায়ক ও সুরকার বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সংগীত পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত আসাফ্উদ্দৌলাহ্ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিরও মহাপরিচালক ছিলেন। বিখ্যাত গজল গায়ক গুলাম আলী খান তার সুরের একজন গভীর অনুরাগী। এ ছাড়া প্রখ্যাত গজল শিল্পী মেহেদী হাসান, ওস্তাদ হামিদ আলী খান, ফিরোজা বেগম, ফরিদা খানম, আবেদা পারভীন, হৈমন্তী শুক্লা, সাবিনা ইয়াসমীন, প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রমুখ শিল্পী আসাফ্উদ্দৌলাহ্র সুরে ও কাব্যে গান করেছেন এবং গানগুলো সমাদৃত হয়েছে। প্রসিদ্ধ সরোদ বাদক পণ্ডিত তেজেন্দ্র মজুমদার এই গানগুলোতে যন্ত্রাণুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন।পিউ মুখার্জী এ বাংলায় অতটা পরিচিত নন যদিও, আসাফ্উদ্দৌলাহ্ বিচিত্র সুরের ছোঁয়ায় ও কাব্যের জাদুতে এ শিল্পীর গানগুলো নিশ্চয়ই এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে শ্রোতাদের- এমনটাই আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি। পিউ মুখার্জীকে কেন সবক’টি গানের জন্যই নির্বাচিত করা হলো- এই প্রশ্নের উত্তরে আসাফ্উদ্দৌলাহ্ বলেন, পিউ’র কণ্ঠে এক অসাধারণ পরিচ্ছন্নতা আছে। আর আছে কবিতায় ডুবে যাবার মগ্নতা। আশা করি, ডিভিডিটি প্রকাশিত হলে বাংলার শ্রোতারা আনন্দিত হবেন।