কয়েকটি ক্লিকেই এখন ছবি বদলে ফেলা যায়। ফলে খালি চোখে যা দেখছেন তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে। হাইপার রিয়ালিটির এই যুগে ছবির বাস্তবতা বদলে দেওয়া বা ইমেজ ম্যানিপুলেট করার কৌশল দিন দিন উন্নত হচ্ছে। কমে এসেছে এডিটেড ও আসল ছবির পার্থক্য।
শনাক্তের উপায়
আলোর তারতম্য খেয়াল করে সম্পাদনা করা ছবি শনাক্ত করা যেতে পারে। আলোর উৎস চোখের মণিতে প্রতিফলিত হয়। ছবিতে থাকা ব্যক্তির চোখের আলো যদি জায়গার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তবে সতর্ক হতে হবে।
গুগলের ভেরিফিকেশন টুল আছে, নাম ‘ভেরিফিকেশন ইমেজ সার্চ’।
এআই জেনারেটেড ছবি চেনার উপায় হলো ছবি গুগলে আপলোড করে সার্চ করে দেখা। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছবিটি আপলোড করা হলে এবং এই ছবির পাশে অন্যান্য এআই জেনারেটেড ছবি থাকলে বিষয়টি সন্দেহজনক।
শুধু এআই ইমেজ জেনারেটর নয়, লাইটরুম সফটওয়্যারে যুক্ত হওয়া এআই টুলও বিভ্রান্তিকর ছবি তৈরির সুযোগ দিচ্ছে। তবে এআই টুল যে শুধু বিভ্রান্তি ছড়াতেই ব্যবহৃত হচ্ছে তা নয়। ‘জেনারেটিভ ফিল’ নামের একটি এআই ফিচার দিয়ে প্রম্পট লিখে ছবির বিভিন্ন উপাদান তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া ছবিতে বিভিন্ন উপাদান যোগ করা কিংবা সরিয়ে ফেলার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
এআই দিয়ে ছবিতে ডিটেইল যুক্ত করার কাজটা এখন পিক্সেল ৮ সিরিজের ফোনগুলো দিয়েও করা যাচ্ছে। ফলে ছবি এডিটিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা থেকে বেঁচে যাচ্ছেন ফটোগ্রাফাররা।