সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমুল পরিবর্তন আনছে ভারত সরকার। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার তারা অগ্নিপথ স্কিম নামের একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এর উদ্দেশ্য বেতন ও পেনশন বিল কমিয়ে আনা। এর ফলে যে অর্থ রক্ষা হবে তা দিয়ে জরুরি অস্ত্রশস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে তহবিল গঠন করা হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার এই উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি একে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা। এই স্কিমের অধীনে ১৭.৫ বছর থেকে ২১ বছরের মধ্যে বয়সী প্রায় ৪৫ হাজার মানুষকে নিয়োগ করা হবে চার বছর মেয়াদে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে।
আর স্কিমের প্রথম ব্যাচটি প্রস্তুত হয়ে যাবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে।
স্কিমে যারা নির্বাচিত হবেন তারা পরিচিত হবেন অগ্নিবীর হিসেবে। অনলাইনে কেন্দ্রীয় সিস্টেম ব্যবস্থায় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বাহিনীতে নিয়মিতদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা যেটা, এক্ষেত্রেই তাই হবে।
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আর হরি কুমার বলেছেন, অগ্নিপথ স্কিমের আওতায় থাকবেন নারীরাও। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, অগ্নিবীরদেরকে বাহিনীতে পূর্ণাঙ্গ আত্তীকরণ করা হবে এবং সেবাখাতেও অন্তর্ভুক্ত হবেন তারা।
নিয়োগের চার বছরের মধ্যে প্রথম ৬ মাস হবে প্রশিক্ষণের। এ সময়ে তাদেরকে মাসে বেতন দেয়া হবে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার রুপি। সঙ্গে পাবেন আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা। এছাড়া তারা চিকিৎসা ও ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পাবেন। চার বছর পরে এসব সদস্যের শতকরা মাত্র ২৫ ভাগকে বাহিনীতে রেখে দেয়া হবে। তারা যোগ দেবেন নিয়মিত ক্যাডারদের সঙ্গে। ফলে তারা নন-অফিসার র্যাংকে পূর্ণাঙ্গ ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করবেন।
বাকি যারা থাকবেন, তাদেরকে চাকরি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে ১১ লাখ থেকে ১২ লাখ রুপির একটি প্যাকেজ পাবেন না। তবে তারা আর কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা পাবেন না। যদি এই স্কিম সফল হয়, তাহলে নাটকীয়ভাবে বার্ষিক রাজস্ব খরচ কমে যাবে। কমে যাবে পেনশন বিল।