ভারতের মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব পাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছেন ভারতের একাধিক বিরোধী দলীয় নেতা।
এবার মুখ খুলেছেন এআইএমআইএম
(অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন) দলের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর পিতৃত্ববাদের এটি বড় উদাহরণ। ১৮ বছর বয়সে একজন মেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে কেন সঙ্গী বেছে নিতে পারবেন না? ১৮ বছর বয়সে কোনো ব্যক্তি ভোটদান করতে পারেন, চুক্তি সই করতে পারেন, ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমি বলবো, ছেলেদের বিয়ের বয়সও ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা হোক।
আজকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়- এআইএমআইএম সাংসদ আরও বলেন, “এটা কী ধরনের যুক্তি? এজন্য আমি মনে করি এটা একটি ভুল পদক্ষেপ। আমার মতে, বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ২১ বছর বয়সীদের সুযোগ দেওয়া উচিত”।
ওয়াইসি বলেন, বাল্যবিবাহ কমেছে ফৌজদারি আইনের জন্য নয়, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির কারণেই। এই সরকার নারীদের উন্নয়নের জন্য কিছু করেনি। শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ যা ২০০৫ সালে ২৬ শতাংশ ছিল তা ২০২০ সালে নেমে ১৬ শতাংশ হয়েছে। গোপনীয়তা একটা মৌলিক অধিকার। কে, কাকে বিয়ে করবেন, কখন সন্তান হবে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্ধারণ করতেই পারেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতা। সৈয়দ তুফায়েল হাসান বলেছেন, “১৬ বছরেই মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়। নারীরা ১৬-১৭ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। বয়স বেশি হলে দু’ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা এবং দ্বিতীয়ত সন্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া। যা প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ”।