টানা দুই হারে খাদের কিনারায় থাকা ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তানকে হারিয়ে। ৬৬ রানের বড় জয়ে টিকে রয়েছে ভারতের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। যদিও এখনো অনেক যদি-কিন্তুর উপর নির্ভর করছে ভারতের সেমিফাইনাল খেলা। সুপার টুয়েলভে আগের তিন ম্যাচের দুটিতে দারুণ পারফর্ম করা আফগানদের হারে হতাশ ক্রিকেট সমর্থকদের একটি অংশ। পাকিস্তানের দারুণ বোলিং আক্রমণ থাকার পরও টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। অথচ ভারতের বিপক্ষে আবুধাবির ব্যাটিং উইকেটে টসে জিতলেও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নবী। আফগান অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সমলোচনা মেতেছেন ক্রিকেট সমর্থকদের বড় একট অংশ। সমালোচনা জবাব দিয়েছেন রশিদ খান।
প্রথমে ব্যাট করে ২১০ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। আসর জুড়ে দারুণ বল করা আফগান বোলাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, নাভিন উল হকরা ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগান ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরন দেখে অনেকেই নানা রকম মত প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে আফগান অধিনায়কের টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে। চলমান বিশ্বকাপে বেশিরভাগ দলই টসে জিতে আগে ব্যাট করতে চাইছে। এক্ষেত্রে সফলতাও পেয়েছে সংশ্লিষ্ট দলগুলো। ম্যাচ শেষে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন রশিদ খান। তিনি নিজেও এদিন ভালো করতে পারেননি।
৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। মোহাম্মদ নবীর সিদ্ধান্ত নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমাদের ভাবনা ছিল, প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ব্যাটিংয়ে ধুঁকেছে। কাজেই যেখানে ওদের ভোগান্তি হচ্ছে, আমরা শুরুতেই ওদের এই জায়গায় টার্গেট করব। সফল হলেই আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করে ২১০ রান করে ফেলে। এই উইকেটে যা অন্তত ২০-২৫ রান বেশি। কৃতিত্ব ওদেরই। এই উইকেটে ১৭০-১৮০ রান তাড়া করার মতো। কিন্তু বাড়তি হয় ৩০ রান। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ অনেক শক্তিশালী। তারা শেষ তিন-চার ওভার কাজে লাগিয়ে দলের রানটাকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে গেছে।’
এ হারের পরও আফগানদের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন টিকে রয়েছে। সেজন্য হারাতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও লক্ষ্য স্থির রয়েছেন আফগানরা। সেই বার্তাই দিলেন রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা বড় পার্থক্য গড়ে দেবে। আমরা জানি ভারত বিশ্বের সেরা দলের একটি। কিন্তু আমাদের পরবর্তী কাজ সম্পর্কে আমরা জানি। প্রস্তুতি, লক্ষ্য সবই আগের মতোই রয়েছে।’