রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার মধ্যেই বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে চলছিল তামিম-শান্তর ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। খেলা ১৫ ওভার না পেরোতেই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। টানা ৪০ মিনিটের বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে ১৫৫ মিনিট (প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এরপর মাঠকর্মীদের প্রচেষ্টায় আবারও খেলা শুরু হলে বোলিংয়ে ঝড় তোলেন তামিম একাদশের সাইফউদ্দিন।
বুধবার দুপুর দেড়টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হন তামিম-শান্ত। এই ম্যাচটি তামিমদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। হারলে নিশ্চিত বাদ, আর জিতলে চলে যাবে সমীকরণে। তিন দলের মধ্যে রানরেটে যারা এগিয়ে থাকবে, তারাই যাবে ফাইনালে। এমন ম্যাচে বৃষ্টির পর সাইফউদ্দিনের আগুন ঝরা বোলিংয়ে শান্তদের ১৬৫ রানের মধ্যে আটকে রাখে তামিমের দল।
বৃষ্টির জন্য ম্যাচে ওভার কমে দাঁড়ায় ৪১। অবশ্য শান্তরা এই ওভারগুলোও শেষ করতে পারেননি। ৩৯ ওভার তিন বলে শেষ হয় তাদের ইনিংস। ম্যাচে ৮ ওভার তিন বলে মাত্র ২৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত বোলিং করেন মোস্তাফিজও। ৮ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এই দুই পেসার মিলেই শান্তদের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেন। এই বৃষ্টিই যেন পোয়াবোরো সাইফউদ্দিনের জন্য। আগে মাত্র এক উইকেট পাওয়া এই অলরাউন্ডার বোলার বৃষ্টির পর নেন আরও চার উইকেট। তারপর মাটিতে সিজদা দিয়ে করেন উদযাপন।
শান্তর দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মুশফিক। এ ছাড়া আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পর আফিফ-মুশফিক খেলার হাল ধরেন। হাফ সেঞ্চুরির পর মুশফিক আউট হলে ভাঙে দুজনের জুটি। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯০ রান। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। ফলে বৃষ্টি আইনে তামিমদের সামনে টার্গেট ১৬৪ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : প্রথম ইনিংস শেষে : নাজমুল একাদশ ১৬৫/১০ (৩৯.৩ ওভার)
ইমন ১০, সৌম্য, ৭, শান্ত ৫, মুশফিক ৫১, আফিফ ৪০, তৌহিদ ১৩, ইরফান ১১, নাসুম ১২* , রিশাদ ১, তাসকিন ১, আল আমিন ১; সাইফউদ্দিন ৮.৩-১-২৬-৫, মেহেদী ৮-০-৩৪-২, খালেদ ৮-০-৩৩-০, মুস্তাফিজ ৮-১-৩৬-৩, শরিফুল ৭-০-৩৬-০।