সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও তীক্ষ্ম মেধা আল্লাহর দ্বিন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। যে মুমিন তা অর্জন করতে পারে, এগুলো তার মর্যাদা আরো বাড়িয়ে দেয়। মহান আল্লাহ তাঁর প্রেরিত নবী-রাসুলদের এই মহামূল্যবান নিয়ামত দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্মরণ করো দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা শস্যক্ষেত সম্পর্কে বিচার করছিল।
যাতে রাতের বেলায় কোনো সম্প্রদায়ের মেষ ঢুকে পড়েছিল। আর আমি তাদের বিচারকাজ দেখছিলাম। অতঃপর আমি এ বিষয়ের ফয়সালা সুলায়মানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আর আমি তাদের প্রত্যেককেই দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। ’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৭৮-৭৯)
দ্বিন বোঝার জন্য সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও তীক্ষ্ম মেধা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। এগুলো না থাকলে কোরআন-হাদিসের সূক্ষ্ম নির্দেশনাগুলো বুঝে তার ওপর আমল করা বা মানুষকে সেগুলো বোঝানো সম্ভব নয়।
উম্মতের মধ্যে হজরত আবু বকর (রা.) ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি, যিনি মহানবী (সা.)-এর সূক্ষ্ম কথাগুলোর মাহাত্ম্য তাত্ক্ষণিক বুঝে ফেলতেন। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) এক ভাষণে বলেন, আল্লাহ তাআলা তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়া ও আল্লাহর নিকট যা আছে এ দুইয়ের মধ্যে একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিলেন। তিনি আল্লাহর নিকট যা আছে, তা গ্রহণ করলেন। তখন আবু বকর (রা.) কাঁদতে লাগলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, এই বৃদ্ধকে কোন বস্তুটি কাঁদাচ্ছে? আল্লাহ তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়া ও আল্লাহর নিকট যা রয়েছে এ দুইয়ের একটা গ্রহণ করার ইখতিয়ার দিলে তিনি আল্লাহর নিকট যা রয়েছে তা গ্রহণ করেছেন (এতে কাঁদার কি আছে?)। মূলত আল্লাহর রাসুল (সা.)-ই ছিলেন সেই বান্দা। আর আবু বকর (রা.) ছিলেন আমাদের মাঝে সর্বাধিক জ্ঞানী। … (বুখারি, হাদিস : ৪৬৬)
মহান আল্লাহ আমাদের কোরআন-হাদিস বোঝার মতো সূক্ষ্ম মেধা দান করুন এবং মেধাকে সুপথে খরচ করার তাওফিক দান করুন। আমিন