ত্বকের যত্নের জন্য নয়, মূলত জীবাণুমুক্ত থাকার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়। তবে খুব ঘন ঘন ব্যবহার করলে স্যানিটাইজারে থাকা অ্যালকোহল বাষ্পীভূত হয়ে ত্বকের শুষ্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে, ত্বকে ইরিটেশন রি-অ্যাকশন হয়ে চুলকানি দেখা দিতে পারে, ত্বক লাল বা পাতলা হয়ে যেতে পারে, একজিমা দেখা দিতে পারে, ফেটে যাওয়া, লাল হওয়া, রস পড়া ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে।
যখন ব্যবহার
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জীবাণু থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া। সচরাচর সাবান ও পানি পাওয়া না গেলে অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ অ্যালকোহলের মিশ্রণ থাকতে হয়। এক হাতের তালুতে জেলটি নিয়ে হাত দুটি একসঙ্গে ঘষতে হয়। হাত শুষ্ক না হওয়া পর্যন্ত হাতের উভয় পৃষ্ঠ ও আঙুলে স্যানিটাইজার প্রায় ২০ সেকেন্ড ঘষা উচিত।
যা করবেন
n হাতে জীবাণু থাকতে পারে মনে হলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
n হাতের যন্ত্রণা বা চুলকানি কমাতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন।
n পুরো হাতে তথা হাতের তালু আর আঙুলের ফাঁকে স্যানিটাইজার ভালোভাবে মাখুন। অনেকটা হাত ধোয়ার মতো হবে।
যা করবেন না
n খুব প্রয়োজন মনে না হলে বা পানি থাকলে ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না।
n খাবার পর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোবেন না। এতে জীবাণু দূর হলেও হাতে লেগে থাকা খাদ্যের অবশিষ্ট অংশ থেকে যায়। হাত ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। তাই খাবার পর পানি দিয়েই হাত ধোন।
n হাত ছাড়া দেহের অন্য কোনো অঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না। কেননা হাতের চামড়া শক্ত ও পুরু হওয়ার কারণে স্যানিটাইজারে তেমন ক্ষতি হয় না। স্যানিটাইজার দিয়ে মুখ বা গা পরিষ্কার করলে জ্বালা, চুলকানি বা ডার্মাটাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
লেখক : কনসালট্যান্ট, রিজেনারেটিভ মেডিসিন
ডার্মাটোলজি অ্যান্ড কসমেটোলজি
শিওর সেল মেডিক্যাল (বিডি) লিমিটেড
গুলশান-১, ঢাকা