সৌদি আরবে যেতে বিমানের টিকিট কিংবা টোকেন পেতে বিড়ম্বনা পিছু ছাড়েনি প্রবাসীদের। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও সৌদি এয়ারলাইন্সের কারওয়ানবাজার কার্যালয়ের বাইরে দিনভর অপেক্ষায় ছিলেন প্রবাসী যাত্রীরা। কাজ হারানোর শঙ্কায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে মতিঝিল বক চত্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে টিকিটের জন্য ভিড় করতে দেখা গেছে কয়েকশ সৌদি গমনেচ্ছুকে। কয়েক দিন আগে টোকেন দেওয়া ছাড়াও কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে আটকেপড়া সৌদি প্রবাসীদের কাছে ফ্লাইটের টিকিট হস্তান্তরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে এয়ারলাইন্সগুলো।
তবে সময়মতো সঠিক তথ্য না পাওয়ায়- বিশেষ করে টিকিটের জন্য আগে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে, এ নিয়ম না জেনেই গতকাল সরাসরি টিকিটের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রবাসীরা একযোগে এসে পড়ায় তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। অবশ্য গত কয়েকদিনের মতো গতকাল কোনো মিছিল-হট্টগোল হয়নি। মতিঝিলে শুক্রবার সকাল থেকেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বুকিং কাউন্টার এবং কারওয়ানবাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের বুকিং কাউন্টারের বাইরে কয়েকশ যাত্রীর ভিড় দেখা যায়।
দুপুরে বকচত্বরে বলাকা ভবনের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের দুটি প্রবেশপথের কলাপসিবল গেট বন্ধ, সেখানে পাহারায় রয়েছেন একদল পুলিশ। আগেই টোকেন সংগ্রহ করা যাত্রীদের পালা করে কাউন্টারে ডেকে নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে দেওয়া হচ্ছে টিকিট। এদিকে টোকেন কিংবা আশ্বাস ছাড়াই ভবনের বাইরে লাইন ধরেছেন যাত্রীরা। তাদের একটি লাইনের শেষ প্রান্তে অবস্থান করছিলেন প্রবাসীরা।
নরসিংদী থেকে আসা বেলায়েত হোসেন জানান, কয়েক দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। ওই দেশের কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু টাকার বিনিময়ে ভিসার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে দেন। তখন বলেছিলেন- যত দ্রুত সম্ভব চলে এসো। কিন্তু এখন বিমানের অফিসাররা বলছেন, যাদের ভিসার মেয়াদ খুবই কম তাদের তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। যারা টোকেন সংগ্রহ করেছিলেন তারাও ধীরে ধীরে টিকিট পাচ্ছেন। আর আমাকে বলেছে, আগামী ৮ অক্টোবর আমি যেন এখানে এসে টোকেন সংগ্রহ করি। কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না।