মুসলিম ও অমুসলিম উভয় ধরনের দেশগুলোতে হালাল অর্থনীতির পরিধি ক্রমেই বড় হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী হালাল অর্থনীতির বাজারও আশাতীত সাফল্যের মুখ দেখবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালে হালাল অর্থনীতির পরিমাণ ৪.৯৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। ২০২০ সালে যার পরিমাণ ছিল ২.৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গবেষকরা হালাল অর্থনীতির এই ক্রমোন্নয়নের কারণ হিসেবে অনুকূল জনসংখ্যা, সরকারি নীতিমালা ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে চিহ্নিত করেছেন।
অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, হালাল খাদ্যের প্রতি অমুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহটি নির্ভর করছে খাদ্যের স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ হওয়ার ওপর। একইভাবে হালাল ফ্যাশন ও ট্যুরিজমে অমুসলিম ভোক্তাদের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে। আমেরিকার বাণিজ্য-পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভান’-এর অর্থনীতিবিদ নেহা আন্না থমাস বলেন, হালাল ব্যবসা ও ইসলামিক অর্থায়নের সম্ভাব্য ঊর্ধ্বগতি ও আলোড়ন সম্ভব হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণেই। এখন হালাল অর্থনীতি বৈশ্বিক বাণিজ্য ও পণ্য সরবারহ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আরো বেশি একীভূত হতে প্রস্তুত। আগামীতে সরকারগুলো যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করে, সহায়ক জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং সনদগ্রহণের সুযোগ সম্প্রসারিত করে তবে হালাল শিল্পের প্রবৃদ্ধি আরো জোরাল হবে।
তিনি আরো বলেন, “মূল্যবোধের জায়গায় হালাল পণ্যের স্বচ্ছতা ও অনুসন্ধানযোগ্যতা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সরকারগুলোর উচিত হলো, হালাল অর্থনীতি বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনার সময় এর সঙ্গে ‘ব্লকচেইন অ্যান্ড ইন্টারনেট অব থিংকস’ (আইওটি)-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তিগুলোকে সংযুক্ত করা। যেন তারা প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায়ের অংশীদার হতে পারে। ”
এ ছাড়া হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে অর্থনীতিবিদরা বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে হালাল পণ্য উৎপাদকদের সমন্বয়, হালাল সনদ লাভের প্রক্রিয়া সহজকরণ, হালাল খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ওষুধ উৎপাদনে হালাল-হারাম চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই