বিমান ক্রু বা বিমানে সফরকারী মুসাফির। সব আলেম এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে মুসাফিরের জন্য রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ; তার জন্য সিয়াম পালন করা কষ্টকর হোক অথবা না হোক।
তবে মুসাফিরের জন্য সিয়াম পালন করা কষ্টকর না হলে তার জন্য রোজা পালন করা উত্তম। আর কষ্টকর হলে তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা উত্তম।
এ ক্ষেত্রে তাকে রোজা ভঙ্গ করা দিনগুলোর রোজা কাজা করতে হবে।
যদি আপনি রোজা পালন করতে চান, তাহলে তিনি যে স্থানে আছেন, সেটা ভূমি হোক বা শূন্য হোক, সেখানে ফজর উদয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে রোজা ভঙ্গকারী সব বিষয় (মুফাত্তিরাত) থেকে বিরত থাকতে হবে। ইফতারের ক্ষেত্রেও একই বিধান। তাই তিনি যে স্থানে থাকবেন, সেই স্থানে সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত ইফতার করবেন না। তিনি যদি প্লেনে থাকা অবস্থায় সূর্য দেখতে পান, তাহলে সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত তার জন্য ইফতার করা জায়েজ নয়; যদিও প্লেনে যে দেশের আকাশ সীমানা দিয়ে যাচ্ছেন সেই দেশের অধিবাসীদের বিবেচনায় সূর্য ডুবে গিয়ে থাকে। বিমানে সফরের কারণে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট বা বড় হওয়া রোজা পালনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এটি সবার জানা যে দিনের বেলায় আপনার সফর যদি পূর্ব দিকে হয়, তাহলে তার ক্ষেত্রে দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাবে। আর যদি সফর পশ্চিম দিকে হয়, তাহলে দিনের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাবে। সুতরাং তিনি যে স্থানে আছেন সেই স্থানের ফজরের শুরু ও সূর্যাস্ত তার ক্ষেত্রে ধর্তব্য হবে।