দেশের চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। চলতি বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে জয়ী হন তিনি। তবে গুঞ্জন উঠেছে এ পদটি থেকে নাকি সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম খবরও প্রকাশ করে। জানা গেছে, আগামী ২১শে মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন ডিপজল। তাই শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অন্য সংগঠনের নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগে ডিপজল পদত্যাগ করতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এদিকে এরই মধ্যে প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ডিপজল।এদিকে ডিপজলের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শিল্পী সমিতির একটি পক্ষ চাচ্ছে একটি প্যানেলের সবাই পদত্যাগ করুক। আবার একটি প্যানেল চাচ্ছে সেটা না হোক। যারা পদত্যাগ চান তারাই মূলত এ গুঞ্জন ছড়িয়েছে। ডিপজল এখন সিঙ্গাপুরে শারীরিক চেকআপে আছেন। সেখান থেকে তিনি জানান, এখানে তথ্যগত বিভ্রাট রয়েছে। এটি হয়তো অনেকে জানে না বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মূল বিষয় হচ্ছে, শিল্পী সমিতিতে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কেউ যদি অন্য সংগঠনে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে সে করতে পারবে। তবে অন্য সংগঠনের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ শিল্পী সমিতিতে নির্বাচন করতে পারবে না। এটাই হচ্ছে শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধান। এ বিষয়টিকে অনেকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। না জেনেই অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ডিপজল বলেন, আমি শিল্পী সমিতির সিনিয়র সভাপতি। এ পদে থেকেই প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতিতে নির্বাচন করবো। এতে সাংগঠনিক কোনো বাধা নাই। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, তা ঠিক নয়। আমি এ ধরনের কোনো বক্তব্য কারও কাছে দেইনি। এদিকে ডিপজল সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন মিয়াভাই খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানান, ফারুক ভাই এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন। ডিপজলও চেকআপ শেষে ঈদের আগে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।