Thursday, June 8, 2023
spot_img
Homeধর্মবিবাহে অভিভাবকের অনুমতি কেন জরুরি

বিবাহে অভিভাবকের অনুমতি কেন জরুরি

১. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সংঘটিত হয় না। (তিরমিজি, হাদিস : ১১০১; আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮৩)

এর কারণ হলো, বিবাহের ক্ষেত্রে নারীদের সার্বিকভাবে পরিপূর্ণ জ্ঞান হয় না এবং তাদের চিন্তা-ভাবনা ত্রুটিযুক্ত হয়ে থাকে। তাই তাদের চিন্তা কখনো কখনো কল্যাণকর পথে তাদের পথপ্রদর্শন না-ও করতে পারে। এ জন্য অভিভাবকদের সম্মতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

২. বংশীয় মর্যাদা পারিবারিক বন্ধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। হতে পারে সে বংশমর্যাদা সংরক্ষণ করবে না। আবার কখনো ‘কুফু’ ছাড়া বিবাহে উৎসাহী হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বংশের অপমান অনিবার্য। তাই অভিভাবককে এ ক্ষেত্রে কিছু অধিকার দেওয়া হয়েছে, যাতে এ অনিষ্টতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩. মানুষের সাধারণ রীতি হলো, নারীর ওপর পুরুষ কর্তৃত্বশীল হয়। আর সব ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুরুষের হাতে ন্যস্ত হয়। সব খরচ পুরুষের ওপর অর্পিত হয়। এ কারণেও নারীর বিবাহের ক্ষেত্রে তার পিতা-মাতার সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ।

৪. বিবাহের মধ্যে অভিভাবকের শর্ত নির্ধারণের কারণে অভিভাবকের মর্যাদা ও সম্মান সমুন্নত হয়েছে। এই সম্মান কালক্রমে আজকের বধূও পাবে। তা ছাড়া অভিভাবকহীন বিবাহে নারী অবহেলার শিকার হয় এবং অভিভাবকের বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়।

৫. অভিভাবকের মাধ্যমে বিয়ে হলে বিয়ের কথা অধিক প্রচার হয়। প্রচারের মাধ্যমে বিবাহকে ব্যভিচার থেকে পার্থক্য করা জরুরি। প্রচারের উত্তম পদ্ধতি হলো, নারীর অভিভাবক বিবাহে উপস্থিত থাকবে। এতে বিবাহ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

[আশরাফ আলী থানভি (রহ.)-এর আহকামে ইসলাম আকল কি নজর মে থেকে ভাষান্তর]

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments