দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছেন শার্দূল ঠাকুর। লাঞ্চের আগে একাই দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত পার্টনারশিপ যেমন থামিয়েছেন, তেমনি চা বিরতির আগে তেম্বা বাভুমা-কাইল ভেরেনের পার্টনারশিপেরও ইতি টেনেছেন। তবে এর মধ্যে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের উইকেট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ওপেনার ডিন এলগার এবং হাফসেঞ্চুরিয়ন কিগান পিটারসেনকে ফেরানোর পরে শার্দূল ঠাকুরের শিকার হয়েছিলেন ভ্যান ডার ডুসেন। শার্দূলের বলে ব্যাটের কানায় লাগার পরে ঋষভ পন্থ ক্যাচ তালুবন্দি করেন। আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস আউটের সিগন্যাল দেন। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল পুরোপুরি পন্থের গ্লাভসে পৌঁছয়নি। তার আগেই বলটি আউটফিল্ড স্পর্শ করে থাকতে পারে! অভিযোগ উঠেছে, পরে পন্থ বিষয়টি আম্পায়ারের কাছে গোপন করেন। এখানে তিনি সততা দেখাননি।
ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় থাকা সুনীল গাভাস্কার আবার যুক্তি দেখিয়েছেন, আউটের পরেই ডুসেন হাঁটা লাগালেন কেন? সহ-ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস বলেন, তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় ডুসেনের ফিরে আসা ছাড়া উপায় ছিল না। তাঁর ভাষায়, ‘লাঞ্চের সময় রিভিউ খতিয়ে দেখে আম্পায়ার যদি নিজের ভুল বুঝতে পারেন, তাহলে ফিল্ডিং ক্যাপ্টেনের কাছে অনুরোধ করা হবে ভ্যান ডার ডুসেনকে যেন ফিরিয়ে আনা হয়। এমনটাই শুনেছি।’
এরপর গাভাস্কার আরো বলেন, ‘ব্যাটে যে বল লেগেছে, তা নিয়ে কোনো সংশয়ই নেই। যা সমস্যার তা হলো, বল ঠিকমতো উইকেটকিপারের কাছে ক্যারি করেছে কি না! ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। ঋষভ পন্থের মতামত নেওয়া উচিত ছিল।’
তবে এমন মাঠে বল ড্রপ খাওয়া ক্যাচ ধরে আউটের আবেদন করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার ঋষভ পন্থকে প্রতারক বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও অনেকে পাল্টা বলছেন, পন্থ নন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আম্পায়াররা। লাঞ্চ ব্রেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার টিম ম্যানেজার এবং অধিনায়ক ডিন এলগার ভ্যান ডার ডুসেনের বিতর্কিত আউট নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেন। তবে এই সিদ্ধান্ত পরে ভুল বোঝা গেলেও ব্যাটসম্যানকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।