ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বেশ কয়েক বছর আগের এক মন্তব্যের জেরে দুই বছরের সাজা, এবং সেই সঙ্গে লোকসভার সদস্য পদ হারিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
এবার ২০১৮ সালে মোদিকে নিয়ে করা মন্তব্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর।
ওই সময় অবশ্য খুশবু কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন। খুশবু বলেছিলেন, ‘মোদি’ নামের অর্থ পরিবর্তন করে ‘দুর্নীতি’ রাখা উচিত। তিনি এক টুইটে লেখেন, ‘মোদি সর্বত্র, কিন্তু এটা কী? মোদি পদবি এখন দুর্নীতির সমার্থক হয়ে উঠেছে।’
মোদি পদবি নিয়ে সমালোচনা করায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। এমনকি কংগ্রেসও বিষয়টি নিয়ে বেশ চাপে পড়েছে। এর মধ্যে সাবেক কংগ্রেস নেত্রী খুশবুর চার বছর আগের টুইট ভাইরাল হলো।
এর প্রতিক্রিয়ায় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে খুশবু বলেন, কংগ্রেস মরিয়া আচরণ করছে। ‘কংগ্রেস আমার পুরোনো টুইট সামনে এনেছে। এতেই বোঝা যায়, কংগ্রেস এখন কতটা মরিয়া!’ যোগ করেন খুশবু।
এই বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘আমি যখন কংগ্রেসে ছিলাম তখনকার মোদি সম্পর্কিত ওই টুইট নিয়ে আমি মোটেও লজ্জিত নই। আমি শুধু নেতাকে অনুসরণ করছিলাম এবং তাদের ভাষায়ই কথা বলছিলাম।’
খুশবু সুন্দর এখন সরকারের জাতীয় নারী কমিশনের সদস্য। সাবেক এ অভিনেত্রী ২০২০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
‘মোদি’ ইস্যুতে এক মানহানি মামলায় গত বৃহস্পতিবার গুজরাটের একটি আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। নরেন্দ্র মোদি গুজরাটেরই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার সময়েই কুখ্যাত গুজরাট দাঙ্গা সংঘটিত হয়। সেই সময় দাঙ্গায় উসকানি ও ঘটনার সময় নির্লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দণ্ডিত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী রায়ের পরদিনই সদস্যপদে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন রাহুল। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি এখনো হাইকোর্টে আপিল করেননি।
কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা এখন খুশবু সুন্দরের সেই টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বলছেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি কি এখন খুশবুর বিরুদ্ধে মামলা করবেন? পূর্ণেশই রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন।
২০১৯ সালের নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘সব চোরের নামের পদবি কীভাবে যেন “মোদি” হয়!’ এরপর বেশ কয়েকটি রাজ্যে তার নামে মানহানির মামলা হয়।