করোনা মহামারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মর্টগেজ লোনের ইন্টারেস্ট রেট সর্ব নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ফলে এসময় বাড়ি কেনা ও রিফাইন্যান্স করার উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, ব্যাংক ও মর্টগেজ কোম্পানিগুলো তীর্থের কাকের মতো বসে আছে গ্রাহক পাবার প্রত্যাশায়। এজন্য মর্টগেজ লোনের সুদের হার ঐতিহাসিকভাবে সর্ব নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।
করোনা মহামারি বা প্যানডামিকের কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন কিংবা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। সে কারণে ইচ্ছে থাকলেও বাড়ি কেনা বা রিফাইন্যান্সের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না অনেকে। ব্যাংক বা মর্টগেজ কোম্পানিগুলোর কাছে গেলেই প্রথম জিজ্ঞাসা কাজ, পে স্টাফ ও ক্রেডিট স্কোর ইত্যাদি। এ কারণে সুদের হার ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন হলেও অনেকে সুযোগ নিতে পারছেন না।
মর্টগেজ ইন্টারেস্ট রেটের গত ৩০ বছরের ডাটা অনুসারে দেখা যায়, সুদের হার ২০২০ সালের জুন-আগস্টে সর্ব নিম্ন ছিল। সর্বোচ্চ রেট ছিল ১৯৮১ সালে। যা ১৮.৬৩%। ১৯ আগস্ট ২০২০ এ ৩০ বছরের ফিক্সড ইন্টারেস্ট রেট ৩.১২%। ১৫ বছরের মর্টগেজ রেট ২.৬৬%। এ রেটে কোন ডিসকাউন্ট বা পয়েন্ট নেই। ডিসকাউন্ট বা পয়েন্ট নিলে সুদের হার আরও কমে আসে। তা ২.৫% হতে পারে। ব্যাংক ও মর্টগেজ কোম্পানি ভেদে ইন্টারেস্টেরও তারতম্য রয়েছে। সেক্ষত্রে শপিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
বাংলাদেশি মেগা হোমস রিয়েলিটির কর্ণধার মঈনুল ইসলাম আজকালকে বলেন, অনেকেই ধারণা করেছিলেন করোনার কারণে হয়তো বাড়ির দাম হুহু করে কমে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। নিউইয়র্কে যেমন ছিল তেমনি আছে। ইন্টারেস্ট কমে যাওয়ায় বাড়ি কেনা বা রিফাইন্যান্সের উপযুক্ত সময় এখনই। কিন্তু হাজার হাজার লোকের কাজ নেই। কাজ না থাকলে কোন ব্যাংক বা মর্টগেজ কোম্পানি লোন দেবে না। যাদের জব আছে তাদের এখনই বাড়ি কেনা বা রিফাইন্যান্স করা উচিত। পে স্টাফ ও ক্রেডিট স্কোর এখানে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। অনেকেই বাড়ি কিনেছেন ৫% থেকে ৭% সুদে। এখন তা নেমে অর্ধেকে এসেছে। যাদের সার্মথ্য আছে তাদের এখনই এ সুযোগ নেয়া দরকার।
ট্রান্স গ্লোবাল রিয়েল স্টেট ও গ্লোবাল ট্যাক্স সার্ভিসেস এর কর্ণধার মাকসুদুর রহমান আজকালকে বলেন, অনেকেই অধিক ইন্টারেস্টে বাড়ি কিনেছেন। এখনই তাদের রিফাইন্যান্স করে মর্টগেজ কমিয়ে আনা উচিত। প্যানডামিক চলে গেলে সুদের হার আবার বেড়ে যেতে পারে। কেউ যদি বাড়ি থেকে ক্যাশ আউট করতে চান তাহলেও এখন রিফাইন্যান্স করতে পারেন। সুদের হার হিস্টোরিক্যালি লো। রিফাইন্যান্স করার সময় ক্লোজিং কস্ট অতি সহজেই মর্টগেজের সাথে যোগ করা যায়। বাড়িওয়ালাকে দিতে হয় না। মাঝখান থেকে পেমেন্টও কমানো যায়। আজকাল*2