বাজেট ঘোষণার পরদিন অর্থাৎ ১০ জুন একটি টিভি চ্যানেল সংবাদপত্র পর্যালোচনার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিল। তাদের মুখ্য আলোচনা হবে বাজেট নিয়ে। আমি সবিনয়ে বলেছিলাম বাজেট পর্যালোচনার করার মতো বিশেষজ্ঞ আমি নই; তেমন জ্ঞানও রাখি না। অনুষ্ঠান প্রযোজকের সরল উত্তর, ‘স্যার, আপনি তো সাধারণ মানুষের একজন। তাই সাধারণ মানুষের বাজেট ভাবনাটিই আপনি বলবেন।’
আজকের বাজেট ভাবনার এ লেখাটি আমি সাধারণ মানুষের ভাবনারই প্রকাশ বলে মনে করি। খুব একটা ভালো সময় কাটছে না এখন। যেটুকু ভালো তা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপার্থিব আনন্দের। যেমন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে আমরা, মেট্রোরেলের হুইসেল যেন শুনতে পাচ্ছি, বিস্ময়ভরা দৃষ্টি নিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার অপেক্ষা করছি; পাশাপাশি পার্থিব হিসাব-নিকাশের জায়গায় সাধারণ মানুষের হতাশা কেবল বাড়ছে। বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক ছিল। তারা চেয়েছিল কোভিডের আঘাতে যেসব খাত বিপর্যস্ত হয়েছিল সেগুলো পুনরুদ্ধারের রূপরেখা থাকবে বাজেটে, প্রত্যাশা ছিল মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কোনো রক্ষাকবজের আলো থাকবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিক্ষা উপকরণের দাম কমবে, প্রকৃত প্রস্তাবে শিক্ষা উন্নয়নে বাজেট সম্ভাবনার আলো দেখাবে, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি হ্রাস করার দিকনির্দেশনা থাকবে, আয় বৈষম্য কমানোর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাবে, মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তের ওপর চলমান আয়করে বৈষম্যের কশাঘাত এবার কমবে। কিন্তু এসব প্রত্যাশা পূরণের অনেকটা জায়গাই ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে রইল। বরাবরের মতো ব্যবসায়ীবান্ধবই (ব্যবসা নয়) হয়ে গেল এই বাজেট। বাজেট প্রণেতা ও সরকার সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী মানুষদের স্বস্তির বাজেটই হলো। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাহীন সাধারণ ও প্রান্তিক মানুষ রয়ে গেল যেন একই তিমিরেই। কিন্তু এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। হয়তো হয়ও নেই। অজ্ঞতার কারণে হয়তো আমরা বুঝতে পারছি না।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় তার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেছিলেন ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ এমন একটি প্রতিপাদ্য সামনে রেখে। শুনে প্রথমেই একটু হোঁচট খেয়েছিলাম। মনে প্রশ্ন জাগল সত্যিই কি আমরা কোভিডের অভিঘাত পেরিয়েছি? কারণ এখনো দেশ কোভিডমুক্ত বলে ঘোষণা আসেনি। সবচেয়ে বড় কথা কোভিডের অভিঘাতে বিপর্যস্ত পেশা হারানো মানুষ, পুঁজি হারানো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাহাকার, নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাতে ভাঙন এসব পুনরুদ্ধারের জন্য সুস্পষ্ট সরকারি পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। বরঞ্চ সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অদ্ভুত প্রজ্ঞাপনে স্কুল পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস পাঠ উঠিয়ে দেওয়া হলো। যেমন এগারো শতকে সেন রাজারা এবং পাকিস্তান পর্বে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা সচেতনভাবে বাঙালিকে ঐতিহ্য ভুলাতে চেয়েছিল। প্রকৃত ইতিহাস পাঠকে আড়াল করতে চেয়েছিল। যাতে বাঙালি প্রজন্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার-ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এতকাল পরে স্বাধীন বাংলাদেশে কেন ইতিহাস ঐতিহ্য ভোলানের জন্য সরকার পক্ষ উদগ্রীব তা স্পষ্ট হয়নি সাধারণ মানুষের কাছে।
প্রতিপাদ্যের দ্বিতীয় অংশটিও চলমান বিভ্রান্তিকে আরও বড় করেছে। বলা হয়েছে ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’। অতীতে বিএনপি সরকারের নেতা-নেত্রীরা উন্নয়ন শব্দটি যথেষ্ট ব্যবহার করতেন। ঠোঁটকাটা মানুষ সে সময় বাস্তব রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন মোটা দাগে দেখতে না পেয়ে বলত এ উন্নয়ন বিএনপি নেতা নেত্রী আর মন্ত্রী এমপিদের উন্নয়ন। এ পর্বের আওয়ামী লীগ সরকার পক্ষও যথেষ্ট উন্নয়ন শব্দ ব্যবহার করেন। তবে বিএনপি আমলের চেয়ে পার্থক্য হলো মানুষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে, সুফলও ভোগ করছে। কিন্তু সরকার পক্ষ এখনো সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের সংজ্ঞাটি স্পষ্ট করতে পারল না। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটেও তা স্পষ্ট করলেন না। এখানেও উন্নয়ন এক ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আটকে রইল। কিন্তু এটুকুতে যে দেশের সার্বিক উন্নয়ন বোঝায় না তা কিন্তু কশাঘাতে জর্জরিত সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। রাজনৈতিক-প্রশাসনিক দুর্নীতি চলমান রেখে ও এর ক্রমবৃদ্ধি ঘটিয়ে এবং এসবের বিরূপ ফল হিসাবে আয় বৈষম্য তীব্রতর করার মধ্য দিয়ে কীভাবে একটি দেশের উন্নয়ন সাধিত হয় তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
নিয়ন্ত্রণহীনভাবে দেশে সন্ত্রাস বেড়ে যাচ্ছে, সড়কে শৃঙ্খলা আসছে না, তাই মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। দলীয়করণের তীব্রতায় দলীয় রাজনীতি বিচ্ছিন্ন মেধাবী প্রজন্ম নিয়োগ-পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছে। এসব দেশ উন্নয়নের পরিমাপক নয়। প্রস্তাবিত বাজেট এসব অন্ধকার থেকে দেশবাসীকে আলোকিত করার কোনো প্রতিশ্রুতি দেখাতে পারেনি।
যখন দ্রব্যমূল্যস্ফীতিতে বিপর্যস্ত মানুষ দেখল, যেখানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী সরকারি প্রণোদনা দিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, সেখানে তিনি নানা প্রণোদনা নিয়ে বড় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালেন। এবার বাজেটে সুবিধা পেয়ে করপোরেট ব্যবসায়ীরা আমোদিত হলেন। দেশের নানা ব্যবসায়ীর চেম্বার থেকে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানাতে থাকলেন সুবিধা পাওয়া ব্যবসায়ী নেতারা। আয় বৈষম্যের শিকার সাধারণ মানুষ এসব দেখতে লাগল কাতর দৃষ্টিতে। নিকট অতীতেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক রেয়াতসহ নানা প্রণোদনা ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা দ্রব্যমূল্য কমায় প্রভাব রাখতে না পরলেও ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত আয় বাড়াতে পেরেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তো বরাবরের মতো ব্যর্থতা দেখিয়েই যাচ্ছে। বণিক ও দুর্নীতিবাজদের স্বার্থের কাছে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিক্রি করে দিচ্ছে বারবার। এবারও কি এর অন্যথা হবে?
দ্রব্যমূল্য কমার প্রত্যাশা থাকলেও বাজেট ঘোষণার দিনই সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ৭ টাকা বেড়ে গেছে। আমি ১১ জুন সাভারে কলুর ঘানি থেকে সরিষার তেল কিনলাম ৩৩০ টাকা লিটার দরে। হাতে ভাজা মুড়ি কিনলাম ২০০ টাকা কেজি দরে। খোঁজ নিলে সব নিত্যপণের দরেই উত্তাপ দেখব। সরকারের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এই উসিলাটি বারবার দেওয়া হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে এ যুদ্ধের ভূমিকা নেই তা নয়। কিন্তু আমদানিনির্ভর নয়, দেশে উৎপন্ন দ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণ ও প্রতিবিধানের কোনো ইশারা মাননীয় অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় দিতে পারলে আমরা স্বস্তি পেতাম।
এদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য শস্য চাল। খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রীরা বারবারই জানিয়েছেন, চালে কোনো ঘাটতি নেই। প্রচুর উৎপাদন হয়েছে এবং প্রচুর মজুত আছে। তারপরও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক দপ্তরগুলো অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছেন হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গরিবের মোটা চাল ৫০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। আর সরু চাল তো ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। মানুষের আয় বাড়েনি। বরঞ্চ ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বাজেট বক্তৃতায় হৃষ্টপুষ্ট সংখ্যার মাথাপিছু আয় বাড়ার খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাবরের মতো দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের মাথা থেকে সেসব কাগুজে আয় ছেটে যে ক্ষমতাবানদের আয়বৃদ্ধির সঙ্গে ক্রমে যুক্ত হচ্ছে সে সত্য পোড়খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন একটু একটু বুঝতে শিখেছে তা যেন মানতে চাইছেন না স্বপ্নচারী ক্ষমতাবানরা।
বিস্মিত হয়েছি দেশের মঙ্গলের কথা বলে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের শাসন করার বদলে আদর করতে দেখে। তারা ৭ শতাংশ কর পরিশোধ করে পাচার করা টাকা ঝকঝকে সাদা রং করে দেশে ফেরত আনাবেন। অবশ্য আমাদের গবেট মাথায় এই উচ্চমার্গের চিন্তা ঢুকবে না। দেশের ভেতর কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে যেমন অসাধুদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়ে থাকে, তেমনি অর্থ পাচারকারীদের সম্মান দেওয়া হলেও তাদের অধিকাংশ তা গ্রহণ করবেন বলে মনে হয় না। কে চাইবে ঘোষণা দিয়ে পাচারকারী হিসাবে নিজেকে চিহ্নিত করতে। পাচারকারী টাকা পাচার করেছেন কি তা ফিরিয়ে আনতে! এসব টাকার অনেকটাই তো তারা লগ্নি করে ফেলেছেন বিদেশে নানা ব্যবসায় এবং পিকে হালদারের মতো ফ্ল্যাট বাড়ি কিনতে। দেশকে তারা টা টা বাই বাই দিয়ে ফেলতে পারেন সহজেই।
সরকার স্বাভাবিকভাবেই চায় আয়করের সীমা বাড়াতে। বেশিরভাগ মানুষকে আয়করের সীমায় আনতে। বেদনার কথা হচ্ছে এ বড় মূল্যস্ফীতির পরও আগের মতো তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা হয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষকেও এখন আয়কর দিতে হবে। কয়েক বছর আগে একজন সাবেক কর কর্মকর্তা বলেছিলেন আপনারা (অর্থাৎ সাধারণ মানুষ) যতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে আয়কর পরিশোধ করেন নানা ঘরানার ধনিক শ্রেণি সেভাবে পরিশোধ করেন না।
আমার বন্ধুর পরিচিত একজন সাবেক আমলা আছেন যিনি নাকি আমলাগিরি করে যতটা অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন তাতে আমার মতো দশজনের আয়কে মুঠোতে নিতে পারেন। কিন্তু বন্ধুটি জানালেন আমলা বুদ্ধিতে তারা এমন বন্দোবস্ত করতে পারেন যে বছর শেষে তারা আমার চেয়ে কম আয়কর দেন। এ ব্যাপারে আমার মতো অ-জ্ঞান মানুষ মনে করে আয়কর এমন ধার্য হওয়া উচিত যাতে একজন আয়কর দাতা তার আয়ের অংশ থেকে স্বাচ্ছন্দ্যেই আয়কর দিতে পারেন। আয়ের হিসাব টাকার অঙ্কে একযুগ আগে যেমন ছিল তেমন টাকার মূল্য তো এখন নেই। তাই ধরে নিই একযুগ আগে ৯ লাখ টাকার মালিকের আর্থিক ক্ষমতার সঙ্গে মোটেও তুলনীয় হতে পারেন না এখনকার ৯ লাখ টাকার মালিক। এখনকার ৩০ লাখ টাকার মালিকের সামর্থ্যরে সঙ্গে ৯ লাখ টাকার মালিকের সামর্থ্য এক হতে পারে না। তাই ৩০ লাখ বা ৯ কোটি টাকার মালিক যে উচ্চতর রেটে আয়কর দেবেন মুদ্রাস্ফীতি হিসাব না করে একই রেট যদি ৯ লাখ টাকার মালিকের ওপর আরোপিত হয় তবে তো তার নাভিশ্বাস উঠবেই। এসব কারণেই অনেকে আয়করের সঠিক হিসাব দিতে দ্বিধা করেন কিনা আমি জানি না।
আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এসব যুক্তি আয়কর নির্ধারকদের হিসাবে না থাকায় গত কয়েক বছর ধরে আমাকে ঋণ করে আয়কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি যার তেমন আয় না থাকলেও এবং কোভিডকালীন বাড়িভাড়া বন্ধ থাকার পরও আয়করে ছাড় না থাকায় আয়কর নিবর্তনমূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দেখা গেল গতানুগতিকতা পরিহার করে বাস্তবতার নিরিখে আয়কর রিটার্নের কোনো ইঙ্গিত এবারও বাজেটে প্রতিফলিত হলো না।
প্রস্তাবিত বাজেটে অনেক ভালো দিকও আছে। যেমন সার ভর্তুকিতে বরাদ্দ বেড়েছে। বরাদ্দ বেড়েছে সমন্বিত স্বাস্থ্য বিজ্ঞান গবেষণাতে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন আশাব্যঞ্জক। কৃষিক্ষেত্রেও কিছু কিছু প্রণোদনা লক্ষ করা যায় প্রস্তাবিত বাজেটে। শিল্পকারখানা গড়ার প্রণোদনা দিয়ে তা কার্যকর করতে পারলে কর্মসৃজনের সুযোগ বাড়বে। আর বাদ বাকি অধিকাংশ খাতের বাজেটকে গতানুগতিক বলা যায়। সংকট একটাই ভর্তুকি পূরণের সম্ভাবনা নিয়ে এবারো প্রশ্ন রয়ে গেল। গতবার রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক অর্জিত হয়েছিল। এবার এই শঙ্কা আরও বড় হয়েছে।
আমরা আশা করছি, বাজেট চূড়ান্ত করে সংসদে অনুমোদনের আগে সার্বিক সংকট ও সম্ভাবনাগুলো নিয়ে সূক্ষ্ম পর্যালোচনা করা হবে। সরকার যদি উন্নয়ন বলতে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারণায় আটকে না থেকে সার্বিক উন্নয়নের ধারণায় প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কার আনেন তবেই স্বস্তি মিলবে, এমনটাই সাধারণ মানুষের বিশ্বাস।
ড. একেএম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়