যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েই চলেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। তারপরেও ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেষ তিন মাসে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৯ শতাংশ। যদিও গত বছরের একই সময় এই হার ছিল ৩.২ শতাংশ। কিছু বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন, মার্কিন অর্থনীতি মন্দার দিকে ছুটে যাচ্ছে। যদিও চাকরির বাজারে সেরকম ইঙ্গিত নেই। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এখন ইতিহাসের সবথেকে কম। কিন্তু অর্থনীতির অন্যান্য দিক বেশ দুর্বল রয়ে গেছে। ডিসেম্বর মাসে যেখানে বেচাকেনা বেশি হয় সেখানে এবার খুচরা বিক্রি গত মাসের তুলনায় ১.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদন খাতেও দেখা গেছে মন্দা।
স্টক মার্কেটের অবস্থাও ভাল ছিল না গত বছর।
রিপোর্টে দেখা গেছে, বছরের শেষ তিন মাসে হাউজিং বিনিয়োগ ২৭ শতাংশ কমে গেছে। তবে এতকিছু মধ্যেও ভোক্তা ব্যয় যা কিনা মার্কিন অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি, তা স্বাভাবিক রয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২.১ শতাংশ। যদিও তার আগের বছরের তুলনায় এই হার বেশ কম। মহামারীর শেষে অর্থনীতি দারুণভাবে ফিরে আসছিল। ফলে ২০২১ সালে রেকর্ড ৫.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৮৪ সালের পর এটিই ছিল সর্বোচ্চ।
এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দ্রুত জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। ফলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যংককে মূল্য নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে হয়। গত বছর ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার শূন্য থেকে ৪ শতাংশে উন্নীত করে, এটি ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্যংক মানুষকে ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় করতে বলছে। এরফলে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এতে করে অর্থনীতি ধীর হয়ে আসবে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ চাকরি হারাতে পারে। যদিও আপাতত সেরকম কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।