ব্যাগের মধ্যে আস্ত একটি সাপ। বিষয়টা খুলেই বলা যাক। ফ্লোরিডা বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে একটি সাপ সবে বিমানে চড়তে যাচ্ছিলো। শেষমেশ নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে পড়ায় সাপটির আর বিমানে চড়া হলো না। ফ্লোরিডার ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (TSA)ভ্রমণকারীর লাগেজের ভিতরে একটি ‘বোয়া কনস্ট্রিক্টর গোত্রের’ সাপ খুঁজে বের করেন । TSA এজেন্সির মুখপাত্র লিসা ফার্বস্টেইনের পোস্ট করা একটি এক্স-রে ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ১৫ডিসেম্বর টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন নারীর লাগেজের ভিতরে ৪ ফুটের সাপটিকে দেখা গেছে । TSA একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছে-”নিয়ম মেনে এক যাত্রীর হাতব্যাগটি এক্স-রে যন্ত্রের ভিতরে ঢোকানো হয়েছিল। এর পরে স্ক্রিনে চোখ পড়তেই দেখা যায় ব্যাগের মধ্যে জুতো, ল্যাপটপের পাশে শুয়ে রয়েছে একটি বিশেষ বস্তু। অফিসাররা যখন ওই যাত্রীকে এক্স-রেতে সাপের চেহারা সম্পর্কে অবহিত করেন, তখন তিনি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে এটি তার পোষ্য, নাম বার্থোলোমিউ। ” যদিও সাপটিকে বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি।
‘বোয়া কনস্ট্রিক্টর’ গোত্রের সাপ বিষধর নয়, তবে শিকারকে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলতে পারে । কুকুর এবং বিড়ালের মতো পোষা প্রাণীদের তাদের মালিকদের সাথে উড়তে দেওয়া হয়। এর আগে নভেম্বরে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চেক করার সময় লাগেজের ভিতরে একটি বিড়াল পাওয়া গিয়েছিল। তারপরে ডিসেম্বরে উইসকনসিন বিমানবন্দরে একটি ক্যারি-অন ব্যাকপ্যাকের ভিতরে একটি কুকুর পাওয়া গিয়েছিল। ভার্জিনিয়ার এক নারী একবার কেনিয়া ভ্রমণ করছিলেন। তিনি তার সাথে জিরাফ এবং জেব্রার হাড় বাড়িতে আনার চেষ্টা করেছিলেন। এক্স-রে মেশিনে সাপ ধরার ঘটনা এটাই প্রথম নয়, কারণ জুন মাসে থাইল্যান্ডে দুই যাত্রীর লাগেজে পাওয়া ১০৯টি জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে ২০টি ছিল সাপ ।
সূত্র : usatoday.com