Friday, March 24, 2023
spot_img
Homeধর্মফেরেশতাদের কি স্বরূপে দেখা সম্ভব?

ফেরেশতাদের কি স্বরূপে দেখা সম্ভব?

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফেরেশতাদের স্বরূপে দেখেছেন। তবে তাঁর উম্মতের কেউ ফেরেশতাদের স্বরূপে দেখেনি। নবীজি (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে দুবার সেই অবয়বে দেখেছেন, আল্লাহ যা দিয়ে তাঁকে সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে তো তাঁকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে।

(সুরা তাকভির, আয়াত : ২৩)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সে তাঁকে আরেকবার দেখেছিল প্রান্তবর্তী বদরিগাছের কাছে। যার কাছে অবস্থিত বাসোদ্যান। ’ (সুরা নাজম, আয়াত : ১৩-১৫)

উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) জিবরাইলকে দেখেছিলেন, যিনি তাঁর কাছে ওহি নিয়ে আসতেন এবং তাঁকে তিনি সেই অবয়বে  যাতে আল্লাহ তাঁকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর আছে ছয় শ ডানা। তিনি তাঁকে প্রথম দেখেছিলেন মক্কার নিকটবর্তী ‘বাতহা’ নামক স্থানে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘জিবরাইল (আ.) নবীজি (সা.)-এর কাছে বিভিন্ন অবয়বে উপস্থিত হতেন। কখনো দিহয়াহ ইবনে খালিফা আল-কালবি (রা.)-এর অবয়বে, কখনো কোনো গ্রাম্য লোকের অবয়বে এবং কখনো তাঁর আপন রূপে। জিবরাইল (আ.)-এর আছে ছয় শ ডানা। প্রত্যেক দুই ডানার মধ্যে পূর্ব-পশ্চিমের দূরত্ব। তিনি তাঁকে স্বরূপে দুবার দেখেছিলেন। একবার আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানে এবং একবার সিদরাতুল মুনতাহায় জান্নাতুল মা’ওয়ার কাছে। ’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)

আয়েশা (রা.) সুরা নাজমের আয়াত দুটি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এর দ্বারা জিবরাইল উদ্দেশ্য। আমি তাকে তাঁর আসল রূপে শুধু এই দুবারই দেখেছি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৩৪)

তবে ফেরেশতাদের যদি ভিন্ন কোনো রূপ ধারণ করে, তবে তাদের দেখা সম্ভব। যেমন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘বর্ণনা কোরো এই কিতাবে উল্লিখিত মারিয়ামের কথা, যখন সে তাঁর পরিবারবর্গ থেকে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করল। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রুহকে পাঠালাম, সে তার কাছে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল। মারিয়াম বলল, আল্লাহকে ভয় কোরো, যদি তুমি আল্লাহভীরু হও। আমি তোমার থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সে বলল, আমি তো তোমার প্রতিপালক-প্রেরিত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য। ’ (সুরা মারিয়াম, আয়াত : ১৬-১৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে একবার অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির অবয়বে জিবরাইল (আ.) আগমন করেন এবং তাঁকে প্রশ্ন করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রশ্নের উত্তর দেন। অতঃপর বলেন, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি হলো জিবরাইল। তিনি তোমাদের দ্বিন শেখাতে আগমন করেছিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১)

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments