দর্শক হিসেবে ফুটবল খেলা দ্বারা কতোটা প্রভাবিত হন আপনি? উত্তর হতে পারে, আপনার প্রিয় খেলা এটি। একজন ফুটবলারের কাছে খেলাটি কতোটা অর্থবহ? নিঃসন্দেহে এটি তাদের ‘ফার্স্ট প্রায়োরিটি’। আর নিশ্চয়ই ফুটবলারদের সেরা উদাহরণ হতে পারেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসি। ফুটবলকে ধ্যান-জ্ঞান মেনেই ক্যারিয়ার সাজিয়েছেন দুই সুপারস্টার। অর্জন করেছেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি। মেসি কিংবা রোনালদোর কাছে ফুটবল মানে কী? অবশ্যই তাদের আবেগের নাম ‘ফুটবল’ । তবে পর্তুগিজ সফল কোচ জর্জ জেসুসের মতে, ফুটবল নিয়ে ততোটাও আবেগী নন রোনালদো। আর মেসির নাকি খেলাটি নিয়ে কোনো আবেগই নেই!
এক যুগের বেশি সময় ধরে ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করছেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুই সুপারস্টার মিলে ভাগ করে নিয়েছেন ১২টি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। যে খেলাকে পুঁজি করে রোনালদো-মেসির এত যশখ্যাতি, সেটির প্রতি তাদের আত্মত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিকই।
বৃটিশ দৈনিক দ্য সানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বেনফিকার সাবেক কোচ জর্জ জেসুস দুই ফুটবল গ্রেট পেলে এবং দিয়েগো ম্যারাডোনার তুলনামূলক আলোচনা করেন।
সেখানে তিনি বলেন, ‘দিয়েগো ম্যারাডোনা ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। পেলেও রয়েছে সেরার তালিকায়। তবে ম্যারাডোনা ছিলেন সেরাদের সেরা। শুধুমাত্র তার ফুটবল দক্ষতার জন্য নয়; খেলাটির প্রতি তার আত্মত্যাগের জন্যও। আমার চোখে, এটাই সবার সঙ্গে তার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বিশ্বমানের ফুটবলার ছিলেন তিনি। ফুটবলের প্রতি তার আবেগ ছিল। জন্মসূত্রে একজন ফুটবলার ছিলেন ম্যারাডোনা।’ এরপরই মেসি এবং রোনালদোকে নিয়ে কথা বলেন জর্জ জেসুস। বর্তমানে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচের কোচ বলেন, ‘(ফুটবলের প্রতি আবেগ) এটা কোনোভাবেই পরিশ্রমের ফল নয়। বর্তমান সময়ের দুই সেরার মধ্যে ফুটবল নিয়ে রোনালদোর আবেগ সামান্য আর মেসির কিছুই নেই। তার একটুও আবেগ নেই। যদিও মেসি একজন সেরা ফুটবলার। আমি মনে করি, এই ক্ষেত্রে ম্যারাডোনা সবার ঊর্ধ্বে।’