Wednesday, March 22, 2023
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকপ্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের চ্যালেঞ্জার কে এই কিলিকদারুগ্লু ?

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের চ্যালেঞ্জার কে এই কিলিকদারুগ্লু ?

তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের চ্যালেঞ্জার হিসেবে দেশটির বিরোধী দলের নেতা কেমাল কিলিকদারুগ্লুর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ছয় দলীয় জোট এই মনোনয়ন নিয়ে দীর্ঘ বাদানুবাদের পর ঘোষণাটি দেয়া হয়। আগামী ১৪ মে একই দিন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে। তুরস্কের এবারের নির্বাচন দেশটির ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার আঙ্কারায় প্রায় দু’হাজার লোকের উপস্থিতিতে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) চেয়ারম্যান কিলিকদারুগ্লু বলেন, ‘আমাদের টেবিল হলো শান্তির টেবিল। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশকে সমৃদ্ধি, শান্তি ও আনন্দের দিকে নিয়ে যাওয়া।’

বিরোধী জোট বলেছে, তারা জয়ী হলে অর্থনীতি, নাগরিক অধিখার, পররাষ্ট্রনীতিসহ এরদোগানের অনেক নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।

কিলিকদারুগ্লু (৭৪) তুরস্কের বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং মুদ্রাস্ফীতির সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন। তাছাড়া গত মাসের ভূমিকম্পের ফলে দুর্ভোগকেও পুঁজি করতে পারেন। ওই ভূমিকম্পে ৪৬ হাজার লোক নিহত হয়।

কিন্তু তবুও এই সাবেক অর্থনীতিবিদ সত্যিই এরদোগানকে পরাজিত করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তুরস্কের সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা এরদোগান তার ক্যারিশমা দেখিয়ে অনেক নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

বিরোধী জোটের পাঁচটি দল শুক্রবার কিলিকদারুগ্লুর মনোনয়ন নিয়ে একমত হয়। তবে দেশটির ডানপন্থী আইওয়াইআই পার্টির নেতা মেরাল আকসেনার বলেন, এই প্রার্থী নির্বাচনে হেরে যাবেন। তিনি আঙ্কারা বা ইস্তাম্বুলের মেয়রকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করার সুপারিশ করেন। তবে ৭২ ঘণ্টার উত্তেজনাকর আলোচনার পর সব দলের মধ্যে সমঝোতা হয় যে আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলের মেয়র দুজনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে।

আল জাজিরার সিনেম কোসেওগ্ল আঙ্কারা থেকে বলেন, কিলিকদারুগ্লুর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, তিনি ‘যতগুলো নির্বাচনে লড়েছেন, প্রায় সবগুলোতেই হেরে গেছেন। তবে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদের ওপর দমননীতি চালানোর প্রতিবাদে ২০১৭ সালে আঙ্কারা থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত যে ‘জাস্টিজ মার্চ’ করেছিলেন, তাতে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।

তুরস্কের বিরোধী দলগুলো এখন বেশ কাছাকাছি রয়েছে। তারা ২০১৯ সালের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগানের একে পার্টির কাছ থেকে ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিউনিসিপ্যালটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। সূত্র : আল জাজিরা

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments