স্রষ্টা, প্রতিপালক ও ইলাহ হিসেবে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপনের অন্যতম দাবি হলো শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো দ্বারস্থ না হওয়া। কেননা দোয়া ও প্রার্থনা ইবাদতেরই অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দোয়াও একটি ইবাদত।
’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৪৭৯)
পবিত্র কোরআনের একাধিক স্থানে আল্লাহ শুধু তাঁর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন! আমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, …তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁকে ডাকবে। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২৯)
সুতরাং যাপিত জীবনে একজন মুমিনের বক্তব্য হলো—‘আমি আমার প্রতিপালককেই ডাকি এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করি না। ’ (সুরা জিন, আয়াত : ২০)
বান্দা শুধু আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করবে। কেননা আল্লাহই শুধু তার আহ্বানে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং তার কাছে প্রার্থনা করা ইবাদতের অংশ। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারবশে আমার ইবাদতে বিমুখ, তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে। ’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৬০)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমার বান্দারা যখন আমার সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে, আমি তো নিকটেই। আহ্বানকারী যখন আমাকে আহ্বান করে আমি তার আহ্বানে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমাতে ঈমান আনুক, যাতে তারা ঠিক পথে চলতে পারে। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
বিপরীতে আল্লাহ ছাড়া যাদের প্রার্থনা করা হয়, তারা বান্দার কোনো উপকার করতে পারে না। আল্লাহ বলেন, ‘বলুন! তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদের ইলাহ মনে করো তাদের আহ্বান কোরো, করলে দেখবে তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করার অথবা পরিবর্তন করার শক্তি তাদের নেই। ’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৫৬)
এর পরও যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করবে তারা মূলত আল্লাহর সঙ্গে শরিক করল এবং তাদের জন্য কোরআনের ঘোষণা হলো, ‘অতএব তুমি অন্য কোনো ইলাহকে আল্লাহর সঙ্গে ডেকো না, ডাকলে তুমি শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ’ (সুরা আশ-শুআরা, আয়াত : ২১৩)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া