Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeজাতীয়প্রথমবারের মতো হারলেন সাক্কু

প্রথমবারের মতো হারলেন সাক্কু

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আরফানুল হক রিফাতের কাছে হেরেছেন গত দুই মেয়াদের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।

বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। এ ছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।

বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা শুরু হয়। এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।

ভোটগ্রহণ শেষে সাক্কু গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের কারণে ভোট কাস্টিং কম হয়েছে। অনেকে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। আমি তো মনে করেছিলাম, ইভিএম শুধু জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু সিটি নির্বাচনের মাত্র একশ কেন্দ্রেই যে জটিলতা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে তো হাজার হাজার কেন্দ্র থাকবে। এটা ইভিএমে যদি হয়, তাহলে কী হবে তা এখনই বুঝা যাচ্ছে। 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) গত দুইবারের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু ২০০৫ সাল থেকে কোনো নির্বাচনেই হারেননি। 

১৬২ বছর আগে পৌরসভা হওয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পায় ২০১১ সালে। তার আগে থেকেই মনিরুল হক সাক্কু এ শহরের জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।  

২০০৫ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাক্কু। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন পৌর মেয়র। এরপর ২০১২ এবং ২০১৭ দুইবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র হন। চলতি বছরের ১৬ মে পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।

সাক্কু ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ছিলেন তিনি।

সাক্কু সব সময় বিএনপির প্রার্থী ছিলেন না। কখনো প্রত্যক্ষ এবং কখনো পরোক্ষভাবে বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তবে এবার নির্বাচন করতে নেমে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন কোনো নির্বাচনে হার না মানা সাক্কু।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী (ধানের শীষ) হয়ে। সে সময় কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের মেয়ে বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হন সাক্কু।সীমা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।  

এর আগে ২০১২ সালে স্বয়ং আফজল খানকে হারিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র হন সাক্কু।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments