Thursday, June 1, 2023
spot_img
Homeবিনোদনপ্রতিটি ছবি মুক্তির পরই বউয়ের হাতে মার খান ইমরান হাশমি!

প্রতিটি ছবি মুক্তির পরই বউয়ের হাতে মার খান ইমরান হাশমি!

বলিউডে ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে পরিচিত অভিনেতা ইমরান হাশমি। তার সিনেমা মানেই অন্তরঙ্গ দৃশ্য, এটা সবার কাছেই প্রতিষ্ঠিত। একবার স্ত্রীর সামনেই চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনেত্রীকে চুমু খেতে হয়েছিল তার। তা নিয়ে অবশ্য বাস্তবজীবনেও সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। তবে এটা শুধু একটা ছবিতে নয়, প্রায় ছবি বিশেষ করে যেগুলোতে অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকে সেগুলো মুক্তি পাওয়ার পর বউয়ের হাতে মার খেতে হয় তাকে। 

বলিউড হাঙামার খবরে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ৪৫ বছরে পা রাখেন ইমরান হাশমি।  তবে কয়েক বছর আগের এক জন্মদিনে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সংসার জীবন ও পর্দার জীবন নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন হাশমি। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনার পর বাসায় গিয়ে স্ত্রীর হাতে মার খেতে হয়েছে তাকে। এছাড়া প্রত্যেকটা ছবি মুক্তি পেলেই স্ত্রীকে নিয়ে সিনেমাহলে গিয়ে একসঙ্গে সিনেমা দেখতেন তারা। আর যে সিনেমায় ইমরান হাসমী অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতেন, সে সিনেমা দেখার পরই বউয়ের হাতে মার খেতেন তিনি। 

ইমরান ২০০৬ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা পারভিন সাহানিকে। তত দিনে বলিউডে বেশ পরিচিত মুখ তিনি। চারদিকে তার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে চর্চা। স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইমরান বলেন, ‘আগে ব্যাগ দিয়ে পেটাতো আর এখন হাতই যথেষ্ঠ। তবে সময়ের সঙ্গে অনেকটাই শান্ত হয়েছে।’

২০১৪ সালে করণ জোহরের জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’-এ এসেছিলেন ইমরান। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘মার্ডার’ ছবিতে মল্লিকা শেরওয়াতের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা দেখে কতটা খেপে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী। দেখতে যাওয়ার আগে ছবি সম্পর্কে একেবারেই অবগত ছিলেন না পারভিন। তার পর যখন চোখের সামনে দৃশ্যগুলো দেখছিলেন সঙ্গে সঙ্গে ইমরানের হাতে খামচি বসিয়ে দিচ্ছিলেন। সিনেমা শেষের পর গোটা হাতজুড়ে ছিল শুধুই পারভিনের নখের আঁচড়।

স্ত্রী কর্তৃক মার খাওয়ার কথা ২০১৬ সালে এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সামনেও অকপটে স্বীকার করেছিলেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘ও এখনো রাগ করে। তবে এখন আর আগের মতো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে না।’

ইমরান হাশমি সিনেমায় যতই নায়িকাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেন না কেন, তবে বাস্তবে কখনই কোনো অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়ায়নি তার। আর তাই দাম্পত্য জীবনে সুখেই আছেন তারা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments