ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি আজ সোমবার মারা গেছেন। দিল্লির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ৯ আগস্ট বাড়িতে বাথরুমে পড়ে যান প্রণব মুখার্জি। মাথায় রক্ত জমাট বাঁধে। পরের দিন, ১০ আগস্ট দিল্লির আর্মি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অস্ত্রোপচারের আগে করোনা পরীক্ষা হলে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ। সেকথা নিজেই টুইটারে জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই দিনই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয় তার। এর পর থেকে কোমাতেই ছিলেন তিনি। ভেন্টিলেশন থেকেও বের করা যায়নি। মাঝেমধ্যে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। কখনো আবার না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে তার। কিডনির সমস্যাও দেখা দিয়েছে। রোববার থেকেই ক্রমে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে সেপটিক শকে চলে গিয়েছিলেন। শত চেষ্টা করেও চিকিৎসকেরা বাঁচাতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিকে।
তার মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত পরে তার ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আর আর হাসপাতালের চিকিৎসকদের বহু চেষ্টার পরেও আমার বাবা শ্রী প্রণব মুখার্জি মারা গেলেন কিছুক্ষণ আগে। আপনাদের সকলের প্রার্থনা ও দোয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’
মাত্র চার ঘণ্টা আগেই তিনি একটি টুইট করে জানিয়েছিলেন যে তার বাবার শরীরের অবনতি ঘটছে। এও জানিয়েছিলেন যে তিনি আশা রাখছেন যে তার বাবা সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু শেষরক্ষা আর হলো না।