Friday, July 26, 2024
spot_img
Homeলাইফস্টাইলপ্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায়

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায়

বাড়ছে তাপমাত্রা। এ পরিস্থিতিতে বাড়বে হিট স্ট্রোক, হিট এক্সহউশনের মতো সমস্যা। এক্ষেত্রে বাইরে বের হলে চোখে ঝাপসা দেখলে, মাথা ঘুরে গেলে অবশ্যই সাবধান থাকুন। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। সকাল সকাল কাজ সেরে ফেলুন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। হঠাৎ আবহাওয়া বদলে গেলে যাদের সমস্যা বেশি হয়-

▶ হৃদরোগে আক্রান্ত

▶ ওজন বেশি রয়েছে এমন ব্যক্তি

▶ প্রেশারের ও ডায়াবেটিসের রোগী

▶ বয়স্ক মানুষ

তীব্র দাবদাহ থেকে শরীরে কী কী সমস্যা দেখা যেতে পারে-

* হিট র‌্যাস

গরম বেড়েছে। এ গরমে দীর্ঘসময় কাটালে ঘাম হবে। এ প্রচণ্ড ঘাম থেকে শরীরে বাড়তে পারে হিট র‌্যাস বা ঘামাচি। এ ঘাম থেকে ঘর্মগ্রন্থিতে দেখা দেয় বিশেষ সমস্যা। ত্বকের এ অংশ ইরিটেট হয়ে গেলে ছোট ছোট গুটি বের হয়। তাই সতর্ক থাকতেই হবে।

* হিট স্ট্রোক

দাবদাহ বাড়লে শোনা যাবে হিট স্ট্রোকের কথা। অনেকেই হিট স্ট্রোকের সমস্যা সম্পর্কে জানেন না। এক্ষেত্রে শরীর সঠিকভাবে ঠান্ডা হতে পারে না। শরীর নিজে থেকে ঠান্ডা হতে না পারলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় না। ফলে স্ট্রোকের মতো নানা লক্ষণ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা খুব বেড়ে যাওয়া, কিছু বুঝতে না পারা, কাঁপুনি পর্যন্ত হতে পারে। অনেক সময় এর থেকে অসুস্থ ব্যক্তি কোমায় চলে যান। এমনকি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়াও অসম্ভব নয়।

* হিট এক্সইউশন

ঘাম হলে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে থাকবে লবণ ও পানি। কিছু পরিমাণ লবণ ও পানি বের হলে তেমন সমস্যা হয় না। তবে অনেকটা বেরিয়ে যেতে শুরু করলে দেখা দিতে পারে সমস্যা। এ সমস্যারই নাম হিট এক্সহউশন। এক্ষেত্রে অত্যধিক পানি পিপাসা, মাথা ঘোরা, চোখে কমা দেখা, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

* হিট ক্রাম্পস

শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি এবং লবণ বেরিয়ে যেতে থাকলে অনেক সমস্যাই দেখা দেয়। আর এমনই একটি সমস্যা হলো, হিট ক্রাম্পস। এক্ষেত্রে পেশিতে টান লাগে। বেশিভাগ ক্ষেত্রেই প্রচণ্ড ব্যথা হয়। মানুষ সেই অঙ্গটি ওই নির্দিষ্ট সময়ে নাড়াতে পারেন না। হিট ক্রাম্পস পা, হাত, কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে।

* হিট সিনকোপ

দীর্ঘক্ষণ গরমে থাকার জন্য শরীরে অনেক সমস্যাই দেখা দেয়। এমনই একটি সমস্যা হলো হিট সিনকোপ। তীব্র গরমের কারণে মাথা ঘুরতে শুরু করে। মাথা ঘোরা ছাড়াও এ সময় কম দেখা, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ হিট র‌্যাস ছাড়া প্রতিটি সমস্যাই হলো মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি। তাই সতর্ক থাকা ছাড়া কোনো গতি নেই। সচেতন থাকলে অনেক রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments