পেনসিলভ্যানিয়া কনভেনশন সেন্টারের কাছে ফিলাডেলফিয়ায় অস্ত্র বহনের দায়ে দু’ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছেন প্রসিকিউটাররা। ওই কনভেনশন সেন্টারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। মঙ্গলবার নির্বাচনের পরে এর বাইরে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তারা সেখানে ভোট গণনা বন্ধ করে দেন। এ অভিযোগ উঠার পর এফবিআই মাঠে নামে। তারা গোপন সূত্রে খবর পায়, ভার্জিনিয়া থেকে একটি সশস্ত্র গ্রুপ ওই শহর সফর করছে। এরপরই বৃহস্পতিবার দু’ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, এ সময় পেনসিলভ্যানিয়াতে অস্ত্র বহনের কোনো অনুমতি ছিল না তাদের। এবিসি নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির গাড়িতে একটি স্টিকার লাগানো ছিল।তাতে ‘কিউআনোন কনসপিরেসি থিওরি’ সমর্থনকারী একটি স্টিকার লাগানো ছিল। কিউআনোন হলো এমন একটি গ্রুপ যারা মনে করে, শিশুদের ওপর সারাবিশ্বে যৌন নিপীড়ন করে এমন ব্যক্তিদের একটি জোট সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্রে। তারা যুক্তরাষ্ট্র চালায়। দেশের ভিতর কিউআনোন সন্ত্রাসের হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছে এফবিআই। বিবিসির রিপোর্ট বলা হয়, পেনসিলভ্যানিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে ওই কনভেনশন সেন্টারের কাছে বোমা হামলার হুমকি রয়েছে। এ জন্য পুলিশ এর কাছের একটি এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছে। পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কোন বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে এই পেনসিলভ্যানিয়া। এখানে প্রথম দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও এখন তাকে টপকে অনেক উপরে উঠে গেছেন জো বাইডেন। আর অল্প কিছু ভোট বাকি। যদি এখানে জয় ধরে রাখতে সক্ষম হন বাইডেন তাহলে এখানকার ইলোকটোরাল ২০টি কলেজ ভোটের পুরোটাই তিনি পাবেন। তাহলে তার জন্য হোয়াইট হাউজের পথ একেবারে পরিষ্কার হয়ে যায়। কারণ, ফক্স নিউজের হিসাবে তিনি এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২৬৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর মাত্র ৬টি ভোট হলে প্রয়োজনীয় ২৭০টি কলেজ ভোট তার ঝুলিতে জমা হবে। সেই বিচারে পেনসিলভ্যানিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।