ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের জন্য ক্রেমলিনকে শিক্ষা দিতে আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন এবার রাশিয়ার অভিজাতদের লক্ষ্য করে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বনামধন্য বান্ধবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে । ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট মারফত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ সরকারের নেতা, কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা পরিচালনা পরিষদের সদস্য হওয়ায় এলিনা মারাতোভনা কাবায়েভার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই বিবৃতিতে ৩৯ বছর বয়সী কাবায়েভাকে “পুতিন ঘনিষ্ঠ” বলে বর্ণনা করা হয়েছে । যদিও ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বীকার করে আসছে যে কাবায়েভার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত পুতিন।
কাবায়েভা উজবেকিস্তানের নাগরিক। ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে সোনাও জিতেছিলেন তিনি।এলিন স্টেট ডুমার একজন প্রাক্তন সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে ক্রেমলিনপন্থি সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের প্রধান। এপ্রিলে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করেছে যে, কাবায়েভের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনাধীন ছিল, তবে উদ্বেগ ছিল যে এই ধরনের পদক্ষেপ পুতিনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কারণে উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তুলবে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য আগেই এলিনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কাবায়েভা ছাড়াও, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ অন্যান্য অলিগার্চ, যেমন একটি বড় ইস্পাত উৎপাদনকারী সংস্থা এবং এর দুটি সহযোগী সংস্থার পাশাপাশি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং এর সাধারণ পরিচালকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।আলাদাভাবে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তিনটি অলিগার্চের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে একটি রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি যা পরিবহন মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এছাড়াও রাশিয়ান প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকজনকে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৩ জন রাশিয়ান ফেডারেশন কর্মকর্তা এবং ৩১ জন বিদেশী সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে যারা ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার কথিত অধিগ্রহণকে সমর্থন করার জন্য কাজ করেছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ যখন ষষ্ঠ মাসে প্রবেশ করেছিল তখনি রাশিয়ান অলিগার্চদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্ররা। এদিকে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও অন্যান্য সংস্থান প্রদান করলেও ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : সিএনএন