বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিকে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শিবশঙ্কর পরিচয়ে বসবাস করতেন। তিনি শিবশঙ্কর পরিচয়ে পশ্চিমবঙ্গে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ড জোগাড় করেছিলেন।
এর আগে পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতে এ অভিযান চালানো হয়। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে অভিযান চালায় ইডি। তারা পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিও উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, পি কে হালদারের পাচার করা অর্থে ভারতে কেনা বিভিন্ন সম্পত্তি দেখভালে থাকা যে কয়েকজনের নাম ইডির তদন্তে আসছে, তাদের মধ্যে আছেন সুকুমার মৃধা, তার মেয়েজামাই সঞ্জীব হাওলাদার, পি কে হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদার ও স্বপন মিত্র।
এদের মধ্যে সুকুমার মৃধা ছিলেন বাংলাদেশে পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী এবং তার অর্থ দেখভাল করতেন। সুকুমার মৃধা উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানে সুকুমারের বেশ কিছু মাছের ভেড়ি রয়েছে। তবে সুকুমার সেখানে নিজেকে পি কে হালদারের ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন। সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার স্বামী সঞ্জীব হাওলাদার। তিনিও বাংলাদেশি নাগরিক।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, তিনি পশ্চিমবঙ্গে অশোকনগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার পিকে হালদারসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত সাত থেকে আটটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। ভারতে পিকে হালদারের সম্পদের খোঁজে অভিযানের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা হয়। সীমান্ত লাগোয়া অশোকনগর, দমদম, বাইপাস লাগোয়া একাধিক জোনে চলে তল্লাশি।
ভারতে পিকে হালদারের পাচার করা টাকায় গড়া বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল বাড়ি ও কয়েকশ বিঘা মূল্যবান সম্পত্তি।
ইডির গোয়েন্দারা প্রাসাদ বাড়ি ও কয়েকশ বিঘা মূল্যবান জমির হদিস পেয়েছেন। একইসঙ্গে তল্লাশিতে কলকাতা ও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও বার্তা পেয়েই তল্লাশিতে সক্রিয় হয়েছে ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাংলাদেশ থেকে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের পাঠানো বেআইনি অর্থ সুকুমার মৃধা নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরে সম্পত্তি কিনতে ব্যয় করা হয়েছিল। মূলত পিকে হালদারের খবর জানতে গিয়েই এদিন অশোকনগরে সুকুমার নামের ওই মাছ ব্যবসায়ীর বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি।
বাংলাদেশের পিকেকাণ্ডে যুক্ত অপরাধীদের নাগাল পেতে ভোরে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বহু এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।সীমান্তের কাছে অশোকনগর, দমদম, বাইপাসের কাছে একাধিক জোনে চলে এই তল্লাশি। এর মধ্যে শুধু অশোকনগরেই বাংলাদেশ থেকে হাওলার মাধ্যমে আসা টাকায় তৈরি তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালান ইডি কর্মকর্তারা। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তিনটি জায়গায় একসঙ্গে অভিযান চালান তারা।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া অশোকনগর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিল পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা।
শুক্রবার আর্থিক দুর্নীতির খোঁজে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উঠে আসে প্রকৃত রহস্য। জানা যায়, পি কে হালদার অর্থাৎ প্রশান্ত কুমার হালদার এবং সুকুমার মৃধা প্রকৃতপক্ষে অশোকনগরের দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী। এতেই ইডির কাছে প্রায় স্পষ্ট দু’জনের দীর্ঘদিনের যোগসাজশেই এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এই বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। ওই অঞ্চলে পি কে হালদারের নবজীবন পল্লীতে সুবিশাল বিলাসবহুল বাগানবাড়ি আছে। ঠিক তার পাশেই আছে সুকুমার মৃধার আরেক বিলাসবহুল বাগান বাড়ি। সুকুমার একজন মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে সেখানে পরিচিত হলেও তার আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন ছিল এলাকাবাসীর মধ্যে। ইডি’র তদন্তে জানা যায়, শুধুমাত্র অশোকনগরে একাধিক সম্পত্তি কিনেছে পি কে এবং সুকুমার। এদিন অশোকনগরের ৩টি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি শুরু করে ইডি। যার একটিতে থাকতেন সুকুমার মৃধার মেয়ে অনিন্দিতার জামাই। তাকে জেরা করেছে ইডি। অন্যদিকে, অশোকনগরের বিলাসবহুল বাড়িতে পি কে হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদার ও তার দুই ছেলে মিঠুন হালদার ও বিশ্বজিৎ হালদারকেও জেরা শুরু করেছে ইডি। স্থানীয়রা জানতেন, প্রণব কুমার হালদার ছিলেন সরকারি কর্মচারী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধা মূলত বাংলাদেশে থাকেন। পিকে হালদার মারফত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাতটি ভুয়া সংস্থার নামে টাকা তোলা হতো। ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা বেআইনি লেনদেন হয়।
উল্লেখ্য, পিকে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। পিকে হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি ৩৪টি মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠার পরই দেশ থেকে পালিয়ে যান পিকে হালদার।
পিকে হালদারের যত অপকর্ম
প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।বাংলাদেশের আর্থিক খাতের আলোচিত এই জালিয়াতকে আজ (১৪ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
পিকে সিন্ডিকেটের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক অদ্যাবধি ২২টি মামলা করেছে। অনুমোদিত ১৩টি হলে মামলা হবে ৩৫টি। মামলাগুলোতে ২ হাজার কোটি টাকার ওপর আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। অদ্যাবধি এসব মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মামলায় আদালত ৬৯ জনকে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এ ছাড়া ২০২১ সালের অক্টোবরে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে চার্জশিটও (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে।
৪০ প্রতিষ্ঠানকে ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ : ২০১০ সালে পিকে হালদার যখন রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি ছিলেন তখন রাশেদুল হক রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ডিএমডি ছিলেন।
পিকে হালদার যখন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন, রাশেদুল হক তখন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি হিসেবে ২০১৫ সালে যোগদান করেন।
এমডি হিসেবে যোগদান করেই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নেন। কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ প্রস্তাবের পরদিনই ঋণ দিয়ে দেন। এভাবে প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন।
এসব ঋণের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো মর্টগেজ ছিল না। কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে ঋণের নামে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্যাপিটাল মার্কেটে সরিয়ে নিয়ে এসব অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।
পিকে হালাদার এসব অপকর্মের বহু সহযোগী রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বড় একটি সিন্ডিকেট ছিল তার। পিকে হালদারের অপকর্মের সঙ্গে ছিল তার কয়েকজন বান্ধবীও। পিকে হালদারের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর নাম নাহিদা রুনাই। এই বান্ধবী পিকের অন্যতম সহযোগীও।
নাহিদা রুনাই ও সুভ্রা রানী ঘোষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হিসেবে পরিচিত নাহিদা রুনাইয়ে বাড়ি চট্টগ্রামের খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায়। রুনাইয়ের বাবার নাম মফিজুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামে একটি সরকারি দপ্তরে ‘করণিক’ পদে চাকরি করতেন।
নাহিদা রুনাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় এসে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডে চাকরি পান।
চাকরির সুবাদে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয় পিকে হালদারের সঙ্গে। ২০০৯ সাল থেকে রিলায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন পিকে হালদার। ২০১২ সালের দিকে পিকের সঙ্গে পরিচয় রুনাইয়ের। পিকে হালদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এত বেশি হয়ে যায় যে, তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এসএমই লোন শাখার অফিস এক্সিকিউটিভ থেকে প্রতিষ্ঠানপ্রধান পিকে হালদারের বান্ধবী ‘বড় আপা’ হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। পদ পেয়ে হয়ে যান ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
রুনাই ছাড়াও আরেকজন বান্ধবী আছে পিকে হালদারের। নাম সুভ্রা রানী ঘোষ। দুজনই গ্রেফতার হয়ে এখন কারাবন্দি। যদিও গ্রেফতার হওয়ার পর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে তারা একে অপরকে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই ও ওকায়ামা লিমিটেডের পরিচালক সুভ্রা রানী ঘোষ। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পিকে হালদারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। তারা দুজনই পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হিসেবে পরিচিত। তারা জালজালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন।
পিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা : পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএলএফএসএলেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে ২০২১ সালের শুরুতেই তিনি বিদেশে পালিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুসহ সিন্ডিকেটের সহায়তায় কয়েকটি লিজিং কোম্পানি থেকে অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরিয়ে পিকে হালদার দেশ থেকে সটকে পড়েন। এ অর্থের বড় একটি অংশ কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুর পাচার করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়। এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে পিকে হালদার ও তার সিন্ডিকেট।
সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।