প্লেস্টেশনের পর্দা কাঁপিয়ে এবার পিসিতে হাজির হয়েছে তুমুল জনপ্রিয় গেম ‘গড অব ওয়ার’। শিরোনামে না থাকলেও গেমটি এই সিরিজের চতুর্থ গেম। তবে পেছনের কাহিনির সঙ্গে এটির মিল সামান্যই। মূল চরিত্র ‘ক্রেটস’ এক উপদেবতা।
তার বাস স্ক্যান্ডিনেভিয়ার এক বনে। সদ্যই তার স্ত্রী দেহত্যাগ করেছে। ছেলেকে নিয়ে স্ত্রীর শেষ ক্রিয়াকর্মের জন্য জোগাড় করছে কাঠ। চিতায় আগুন দেওয়ার পর সে ছেলেকে নিয়ে বের হয় শিকার করা শেখাতে, ফিরে আসার পরই পড়ে নর্স দেবতাদের তোপের মুখে। নর্স দেবতাদের আগ্রাসন থেকে নিজেদের বাঁচাতে এবং স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোড়া ছাই পাহাড়ের ওপর নিয়ে ছড়িয়ে দিতে বাবা ও ছেলে গৃহত্যাগ করে। সেখান থেকেই শুরু গেমের মূল কাহিনি।
বরাবরই থার্ড পারসন অ্যাকশন ঘরানার গেম হলেও এবারই প্রথম সিরিজে যুক্ত করা হয়েছে ওপেন ওয়ার্ল্ড। ফলে গেমার তার ইচ্ছামতো যেকোনো জায়গায় যেতে পারবে। রয়েছে বেশ কিছু সাইড মিশন, সেগুলো খেলতে হবে স্কিল বাড়াতে, নিজের ও ক্রেটসের ছেলে আর্ত্রাইয়াসের অস্ত্র ও বর্ম হালনাগাদ করতে। অ্যাকশনের পাশাপাশি কিছু রোল প্লেয়িংও আছে বলা যায়। সাধারণ শক্রর মধ্যে আছে ড্রাউগার, ডাকাতদল এবং বেশ কিছু অতিকায় দানব। দানবগুলোকে ‘মিনি বস’ বলা যেতে পারে। সেগুলোকে পরাস্ত করতে সঠিক সময় আর্ত্রাইয়াসের তীর-ধনুকের প্রয়োজন হবে। অতএব শুধু ক্রেটসকে আপগ্রেড করে গেম শেষ করা হবে মুশকিল।
বেশ কিছু বাড়তি চরিত্রও ক্রেটসকে তার কাজে সাহায্য করবে, তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলাও গেমের অন্যতম বড় আকর্ষণ। একের পর এক কাটসিন না দেখিয়ে বা টানা কাহিনির পয়েন্টগুলোর সাগরে গেমারকে না ভাসিয়ে চরিত্রদের মধ্যকার কথোপকথনের মাধ্যমেই উপস্থাপন করা হয়েছে পুরো কাহিনি।
তুমুল অ্যাকশন, সাইড মিশনের মধ্য দিয়ে কাহিনির আরো পরিব্যাপ্তি হতে থাকবে। ক্রেটস আর আর্ত্রাইয়াসের মধ্যকার সম্পর্কের উত্থান-পতনের মতো চমৎকার গেম ডিজাইনের মাধ্যমেই এটি হতে পারত সেরাদের মধ্যে সেরা। বলা যায় চমৎকার গ্রাফিকস পুরো গেমকে নিয়ে গেছে নতুন এক উচ্চতায়। পিসি পোর্টে কোনো সমস্যাই এখনো দেখা যায়নি, এনভিডিয়া এবং এএমডি দুটি জিপিইউরই সর্বশেষ সব ফিচার এতে আছে।
খেলতে যা যা লাগবে
অন্তত ৬৪ বিট উইন্ডোজ ১০, ৪ কোর ইন্টেল বা এএমডি প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম, এনভিডিয়া জিটিএক্স ৯৬০ ৪ গিগাবাইট বা রেডিওন ২৯০এক্স জিপিইউ এবং ৭০ গিগাবাইট জায়গা।
বয়স
গেমটি শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।