পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান বলেছেন,বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ও গ্রেফতারের মাধ্যমে তার দল পিটিআইকে ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।এই অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।-সামা
মামলা ছাড়াই বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পিটিশনে বলা হয়েছে, ভয়ভীতি ও গ্রেফতারের মাধ্যমে পিটিআইকে ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউস আসলে জিন্নাহ হাউস এবং আইনত একটি বেসামরিক ভবন। পিটিশনে বলা হয়েছে, জিন্নাহ হাউস হামলার জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সামরিক আদালতে বিচার করা আইনের পরিপন্থী।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভয়ভীতি ও গ্রেফতারের মাধ্যমে পিটিআইকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন যে, দেশটির “ফ্যাসিবাদে অবতরণ” গত বছর ২৫ মে শুরু হয়। তিনি উল্লেখ করেন, আজ “বৃহত্তর এবং একমাত্র ফেডারেল দল” সম্পূর্ণ “রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ক্রোধের” মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৯ মে অগ্নিসংযোগকে সমস্ত পিটিআই নেতৃত্ব নিন্দা করেছে। তবু এই অজুহাতে রাষ্ট্র “জোরপূর্বক বিবাহবিচ্ছেদ” সহ দলটিকে ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে এবং পিটিআই সদস্যদের সামরিক আদালতে বিচার করছে। ইমরান খান জোর দিয়ে বলেন, তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। কারণ, সেখানে একটি রাজনৈতিকভাবে সচেতন তরুণ জনসংখ্যা আছে, যারা মিডিয়াকে বিভ্রান্ত করা সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তার তথ্য পায়।
গতকাল বুধবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ‘শক্তিশালী মহলের’ সাথে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে এবং সেই প্যানেল দুটি বিষয়ে বিশ্বাসী হলে সরে যেতে প্রস্তুত। পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী দল ছাড়ার পরপরই তিনি তার সমর্থকদের সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকা যে কারো সঙ্গে কথা বলতে তিনি একটি কমিটি গঠন করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমি এই কমিটি গঠন করছি এবং আমি দুটি জিনিস বলছি। যদি তারা এটাকে বোঝায় যে, তাদের একটা সমাধান আছে এবং ইমরান খান ছাড়াই দেশ ভালোভাবে চলতে পারে, অথবা তারা এটা বোঝায় যে, অক্টোবরে নির্বাচন করে পাকিস্তানের কী লাভ হবে। এই দুটি বিষয়ে আমাদের রাজি করুন এবং আমি দেশের স্বার্থে পিছু হটতে প্রস্তুত আছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।